ঢাকা, সোমবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা: এবার আইনি লড়াইয়ে জিএম কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২২
দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা: এবার আইনি লড়াইয়ে জিএম কাদের

ঢাকা: গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আদালতে আইনি লড়াই করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। এজন্য তিনি আইনজীবী নিযুক্ত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জি এম কাদেরের পক্ষে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ওকালতনামা দাখিল করেন আইনজীবী কলিমুল্লাহ মজুমদার।  

তিনি সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার জিএম কাদের, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু এর পক্ষে ওকালতনামা দাখিল করেছি। একই সঙ্গে জবাব দাখিলের জন্য সময় চেয়েছিলাম। আদালত মঞ্জুর করেছেন। আশা করছি আগামী ধার্য তারিখের আগেই জবাব দাখিল করতে পারব।
  
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা ও মশিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জিএম কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের ওপর দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ জারি করেন।

আদালত আদেশে জিএম কাদেরকে ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে পার্টির কোনো সিদ্ধান্ত যাতে গ্রহণ করতে না পারেন এবং কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারেন সেই মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হলো বলে উল্লেখ করেছেন।

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

এরপর গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২২
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।