ঢাকা: সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রাজধানীর মহাখালী এসকেএস টাওয়ারের ফুডকোর্ট থেকে গ্রেফতার ঢাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বনানী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতিসহ দলটির ৫ জনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- ঢাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বনানী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, একই ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, বনানী থানার সাবেক সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান শেখ ওরফে বাবুল, ২০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক চাঁন মিয়া সরদার, একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আকতার।
অপরদিকে কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- সৈয়দ হেমায়েত উদ্দিন, শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদ ওরফে মামুন, আলমগীর হোসেন, নোমান, শরিফুল ইসলাম, আব্দুর সাত্তার, সবুজ, মন্ডল হোসেন, মিজানুর রহমান বাচ্চু, রিমন মিয়া, ফারুক, বশির আহম্মেদ, নুর মোহাম্মদ, রায়হান কবির, আক্কাস আলী, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, ফোরকান সরকার, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, রুহুল আমিন, সজীব, ফরহাদ আহম্মেদ, মোশারফ, ফারুক, মিজানুর রহমান, বিপ্লব ও ইসরাফিল।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক এস এম সাদ্দাম হোসেন ৩২ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় বিশেষ ক্ষমতাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় প্রথম ১৭ জনের ১০ দিন করে রিমান্ড এবং শেষের ১৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।
তখন ১৭ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপর ১৫ আসামিরও জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ৫ আসামির রিমান্ড ও বাকিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে আদালতের কাফরুল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. ইউসুফ আলী এসব তথ্য জানান।
এর আগে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে ওই ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
কেআই/এমএমজেড