ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অর্থ আত্মসাৎ: চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
অর্থ আত্মসাৎ: চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের কারাদণ্ড

ঢাকা: দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় দি সিনফা নিটার্স লি. এর চেয়ারম্যান চীনা নাগরিক ইয়াং ওয়াং চুংসহ ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার বিশেশ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।

এছাড়া তাদের কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকা আদায় করে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ে দি সিনফা নিটার্স লি. এর চেয়ারম্যান ইয়াং ওয়াং চুং ও এমডি  খসরু আল রহমানকে পৃথক তিন ধারায় ১৩ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরমধ্যে তাদের ৪০৯ ধারায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড এবং ৪৭১ ধারায় এক বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সেই সঙ্গে মামলার দুই আসামি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মনসুরুল হক ও গোলাম মোস্তফাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর অপর দুই আসামি ন্যাশনাল ব্যাংক লি. দিলকুশা শাখার তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এক্সপোর্ট) আব্দুল ওয়াদুদ খান ও তৎকালীন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরীকে দুই ধারায় ৬ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় এক বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলার সব সাজা একসঙ্গে চলবে বলেও রায়ে বলা হয়েছে। তাই প্রথমোক্ত চার আসামির সর্বোচ্চ ১০ বছর ও শেষ দুজনের ৫ বছর করে কারাভোগ করতে হবে। আর জরিমানার ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা দণ্ডিত প্রত্যেকের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে আদায় করে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন আদালত।  

আসামিদের মধ্যে শেষ তিনজন জামিনে আছেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপর তিন আসামি পলাতক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে একটি জাল দলিল তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যাংকে বন্ধক রাখে। দীর্ঘদিন ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার নিশ্চয়তা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। এরপর ব্যাংকের দায় দেনা বাবদ দুই কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা পরিশোধ না করে তারা গা ঢাকা দেন। যাতে ব্যাংক জাল জালিয়াতির কাগজপত্র দিয়ে গ্রহণকৃত বন্ধকি জমি বিক্রি করে তাদের টাকা উদ্ধার করতে না পারে। তাদেরও কোনো হদিস করতে না পারে।   এরফলে প্রকৃত জমির মালিকও হয়রানির শিকার হন।

এ ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। একই কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৪ জুন চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
কেআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।