ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল ঘিরে বাড়তি সতর্কতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল ঘিরে বাড়তি সতর্কতা

ঢাকা: বিচারাধীন দুই আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে ট্রাইব্যুনালের সামনে বাড়তি নিরাপত্তা দেখা যায়।

এ দিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান দুপুর ১২টা পর্যন্ত এজলাস কক্ষে বিচার কাজ চালান। বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনালের গেটে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের সামনে দায়িত্বরত এসআই শাহীন বলেন, এখানে আমরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছি।

তবে ট্রাইব্যুনালের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বাংলানিউজকে বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট থেকেই সারাদেশের আদালতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালে যেহেতু জঙ্গি মামলার বিচার হয়, তাই আদালত থেকে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। আমরা আদালত পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন।

সোমবার এই ট্রাইব্যুনালে সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় বিচারের জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে ২২ জনকে আনা হয়। তবে এ দিন কোনো মামলায় আসামিদের এই ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়নি। কারণ হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, সাক্ষী না আসাসহ বিভিন্ন কারণে আজ কোনো আসামিকে এজলাসে আনা হয়নি। তবে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি ছিল না।

এর আগে রোববার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গেট থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় তাদের হাজির করা হয়েছিল। হাজিরা শেষে হাজত খানায় নেওয়ার পথে পুলিশের মুখে স্প্রে করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে থেকে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঐ দিন সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক পুরান ঢাকার আদালত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১০ জন কে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

পলাতক দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অপরদিকে সারাদেশে রেড এলার্ট জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া ঘটনা তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২২
কেআই/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।