‘কাটপিস’ অর্থাৎ সেন্সরবিহীন নগ্ন দৃশ্য সংযোজন করে প্রদর্শন এবং অননুমোদিত অশ্লীল পোস্টার ও ফটোসেট ছাপিয়ে প্রচারকাজ চালানোর দায়ে আরো একটি চলচ্চিত্রের সেন্সর সনদপত্র স্থগিত করা হয়েছে। ‘সাগরের গর্জন’ নামের এ ছবি প্রদর্শণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড।
একই অভিযোগে কিছুদিন আগে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড `নিষিদ্ধ নেতা` ছবিটির সেন্সর সনদ স্থগিত করেছিল। দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট ১৯৬৩ (সংশোধিত ২০০৬) এর ৫ ধারার আওতায় পর পর দুটি ছবির বিরুদ্ধে এ স্থগিতাদেশ প্রদান করা হলো।
প্রায় বছর দুয়েক অশ্লীলতা মুক্ত থাকার পর চলচ্চিত্রে যখন একধরণের সুস্থ হাওয়া বইতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই সক্রিয় হয়ে উঠেছে অশ্লীলতার হোতারা। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন মফস্বলের সিনেমা হলগুলোতে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া ছবির সঙ্গে অনুমোদিতভাবে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে অশ্লীল দৃশ্য বা কাটপিস।
চলচ্চিত্রে ইদানিং আবার অনুমোদিতভাবে নোংরা দৃশ্য সংযোজনের অভিযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। বোর্ডের পক্ষে একটি টিম গোপনে পরিদর্শন করছে দেশের বিভিন্ন স্থানের সিনেমা হলে সেন্সর পাওয়া সিনেমার প্রদর্শনী।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আরো কমপক্ষে ৬টি ছবির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি বর্তমানে মনিটরিং করা হচ্ছে। অনুমোদিতভাবে অশ্লীল দৃশ্য সংযোজন করে প্রদর্শনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছবিগুলোর সেন্সর সনদ বাতিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময় ২০৩৫, জুন ২৬, ২০১১