তরুণ নির্মাতা নোমান রবিন গতবছর ডিজিটাল ফরম্যাটে নির্মাণ করেছিলেন ‘জলদস্যু রক্ত রহস্য (পাইরেটস দ্যা ব্লাড সিক্রেট)’। সেন্সর বোর্ড ছবিটি আটকে দেয়।
এক কাল্পনিক উপাখ্যান নিয়েই গড়ে উঠে ‘জলদস্যু রক্ত রহস্য’-এর গল্প। এতে দেখা যাবে সাগরের হাজার বছরের আতংক জলদস্যুদের। অত্যাচার অনাচার করার কারণে অভিশাপ্ত হয়ে তারা জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে আটকে গেছে। সারা পৃথিবী তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী জলদস্যুদের তাড়া করে বেরাচ্ছে। জলদস্যুদের কাছে চায় ‘সুধা’। সৃষ্টি কর্তার নিয়ম অনুযায়ী এই সুধা পেতে হলে দুই পক্ষকেই এক হতে হবে। কেউ কাউকে মারতে পারবেনা। অর্থাৎ সহ অবস্থানে থাকলেই কেবল সুধার সন্ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু স্বভাব যায় না মরলে। সুধা পাওয়া গেল ঠিকই, কিন্তু ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বেইমানি করল। জলদস্যুরা ও কম যায় না। তারাও নতুন চাল চাললো। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সমঝোতায় আসতে বাধ্য হল। সুধা চলে এলো জলদস্যুদের জাহাজ।
সুধা নিয়ে জলদস্যুরা স্বর্গের মতো একটি জায়গায় নোঙ্গর করল। তারা কোম্পানীর জাহাজ ফুটো করে ডুবিয়ে দিলো। সুধা পানের আগে জলদস্যুরা এই প্রথম সৃষ্টি কর্তার কাছে ক্ষমা চাইল। তারা স্বীকার করল, সৃষ্টিকর্তা মহান তিনি আমাদের ক্ষমা করবেন। সৃষ্টিকর্তা ক্ষমাও করলেন। কিন্তু তাদের কর্ম তাদের ক্ষমা করল না। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী সেফটি বোটে করে সুধাস্থলে পৌছে যায়। জলদস্যুদের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। জলদস্যুরা সুধার বোতল খালি করে কোম্পানীর লর্ড কে ফেরত দেয়। লর্ড ক্ষ্যাপে গিয়ে গুলি চালায়। ভয়াবহ সংঘর্ষ লেগে যায় উভয়পক্ষের মাঝে।
‘জলদস্যু রক্ত রহস্য’ ছবিতে অভিনয় করেছেন সিন্ডি রোলিং, অহনা, রাশেদ মামুন অপু, অন্তু করিম, রাশেদ বিল্পব, মাজহারুল ইসলাম, সাজু খাদেম প্রমুখ। আরটিভিতে ছবিটির ওয়াল্ড প্রিমিয়ার হবে ঈদ-উল-আজহার দ্বিতীয় দিনে।
বাংলাদেশ সময় ১৮১০, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১১