মানসিক লক্ষণ: কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হলে বা মনঃসংযোগ করতে না পারলে বা জিনিস মনে রাখতে না পারলে এইগুলো ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে।
শারীরিক লক্ষণ: যাদের ডিপ্রেশন হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা বেদনা হয়‚ মাথায় ব্যথা হয় বা হজমের গণ্ডগোল হয় | আমাদের শরীরে ব্যথা বেদনা বা মাথা ব্যথা বা হজমের গণ্ডগোল অন্য কারণের জন্যেও হতে পারে | কিন্তু শরীর সম্পূর্ণ ঠিক থাকলেও যখন এমনটা হয় তখন কিন্তু তাকে ডিপ্রেশনের লক্ষণ হিসেবেই ধরা হয় |
বিষণ্ণতা: বিষণ্ণ থাকা মানেই কিন্তু ডিপ্রেশন নয়।
অপরাধবোধ: যাদের সিভিয়ার ডিপ্রেশন হয় তারা কোনো কারণ ছাড়াই অপরাধবোধে ভোগেন। সব কিছুতেই নিজেকে দোষী মনে হবে। এছাড়াও সব সময় মনে হবে জীবনে আপনি কিছু করতে পারলেন না।
খিটখিট করা: আপনার অকারণে রাগ হবে‚ ভীষণ অস্থির লাগবে এবং সব সময়ই উদ্বিগ্ন থাকবেন। যাদের ডিপ্রেশন হয় তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাগ দেখিয়ে‚ বা অস্থির ব্যবহারের দ্বারা ডিপ্রেশন প্রকাশ করে থাকেন।
কোনো কিছুতেই আগ্রহ না দেখানো: এটা ডিপ্রেশনের কিন্তু খুবই সাধারণ লক্ষণ। এই ক্ষেত্রে আপনার কিছুই করতে ইচ্ছা করবে না। কারো সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগবে না। একই সঙ্গে পারিবারিক লাইফেও আসবে অনীহা। সব সময় একা থাকতে ইচ্ছা করবে। একই সঙ্গে অন্ধকার ঘরে সারাক্ষণ বসে থাকতে ভালো লাগবে।
ঘুমের পরিবর্তন: খুব সকালে ঘুম ভেঙে যাওয়া বা রাতে সহজে ঘুম না আসা বা অতিরিক্ত ঘুমোনো এইগুলো সবই কিন্তু ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে।
অ্যাপেটাইট চেঞ্জেস: ডিপ্রেশনের ফলে অনেকেই খুব কম খায় আবার অনেকেই আছেন যারা এই সময় অতিরিক্ত খাবার খায়। এক মাসের মধ্যে শরীরের ওজনের ৫% যদি ওজন বৃদ্ধি হয় বা কমে যায় তাহলে কিন্তু সেটা সিভিয়ার ডিপ্রেশনের লক্ষণ।
এনার্জি: আপনার যদি ডিপ্রেশন হয় তাহলে সব সময় ক্লান্ত লাগবে। যাদের ডিপ্রেশন আছে তাদের মনে হতে পারে তাদের শারীরিক ক্ষমতা কমে গেছে।
আত্মঘাতী প্রবণতা: নিজের শরীরে আঘাত করা বা নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা চিন্তা করা সবই কিন্তু ডিপ্রেশনের লক্ষণ। এই অবস্থায় কিন্তু আপনার তখনি সাহায্য দরকার।