ফ্রেজারের অক্সফোর্ড স্ট্রিটের এ চায়ের চত্বরটিতেই ইউরোপের প্রথম সেলফিচিনো তৈরি হয়। পানীয়ের ফেনায় গ্রাহকের মুখের ছবি বসিয়ে পরিবেশন করার পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ‘সেলফিচিনো’।
ক্রেতারা একটি অনলাইন মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাপোচিনো বা হট চকলেট অর্ডার করার সঙ্গে মুখের ছবিও পাঠায়। পানীয় প্রস্তুতের সময় ছবিটি ‘চিনো’ মেশিনে আপলোড করা হয়। এরপর স্ক্যান করে সুগন্ধহীন খাদ্য রং দিয়ে ফেনার ওপর মুখের ছবি বসানো হয়।
প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সময় লাগে মাত্র চার মিনিট। আর মজার নিয়ম হলো, পানের আগে অবশ্যই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতে হবে। খরচ পড়বে ৫ দশমিক ৭৫ পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ৬৩৭ টাকা)।
‘সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে খাবারের পরিবেশন পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে গেছে। ’ বলেন ‘দ্য টি টেরেস’ এর মালিক ইহাব সেলিম শৌলি।
‘শুধু ভালো খাবার ও ভালো সেবাই যথেষ্ট নয়, এটি অবশ্যই ইনস্টাগ্রামের যোগ্য হতে হবে। ’
দোকানটি চালু হওয়ার দু-এক দিনেই ৪০০টির বেশি বিক্রি হয় মুখের ছবি বসানো এই পানীয়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ‘সেলফিচিনো’ হ্যাশট্যাগে এটি দ্রুত ছড়িয়েও পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
এমএসএ/এএ