বউ-বরের সামগ্রিক সৌন্দর্যের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাখে তাদের সাজ-পোশাক। বিশেষ আকর্ষণ থাকে নতুন বউ-এর শাড়ি নিয়ে।
এমদাদ হক বলেন, শাড়ি কেনার সময় প্রথমেই গুরুত্ব দিতে হবে ফেব্রিকের ওপর। দেশি বেনারসি বা জামদানির মধ্যেই আজকাল বউরা শাড়ি বেছে নেন। বেনারসির ক্ষেত্রে কাপড় মোলায়েম দেখে শাড়ি বাছাই করতে হবে। দীর্ঘ সময় বউকে এই শাড়িতে থাকতে হয়, এটা আরামদায়ক না হলে, সারাক্ষণ অস্বস্তি ও কষ্ট হবে।
শাড়িতে জরির কাজের ব্যবহার থাকলেও খুব জমকালো কাজের পরিবর্তে হালকা কাজের শাড়ি নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আমাদের দেশে সাধারণত লাল, মেরুন ট্রেডিশনাল রঙের শাড়ি পরতেই পছন্দ করেন সবাই। তবে নীল, গোলাপী, সোনালী বা সবুজ রং-ও পরা যায়। কনের গায়ের রঙের সঙ্গে যেই রং খুব ভালো মানায়, সেই রঙের শাড়িই পরা উচিত। বিয়ের মতো বিশেষ দিনে এক্সপেরিমেন্ট না করাই ভালো।
এমদাদ আরও বলেন, কেউ যদি জামদানি শাড়ি পরতে চান, তবে একটি ভালোমানের বিয়ের শাড়ি তৈরি করে নিতে লাখ টাকার ওপরে প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে বাজেটের মধ্যে ভালো শাড়ি পেতে সাধারণ শাড়ির দোকান বা তাঁতির কাছ থেকে শাড়ি কিনে লেস, পাড় বসিয়ে পছন্দমতো ডিজাইনের ব্লক বা এমব্রয়ডারি করে নিলেই হয়ে গেল বিয়ের দিনে পরার জমাকালো এক্সক্লুসিভ শাড়ি।
ব্লাউজের কথা ভুলবেন না, হুম এটা খুব জরুরি, শাড়ির সঙ্গে মানানসই সঠিক মাপের সুন্দর শেপের ব্লাউজ বানিয়ে নিন। অবশ্যই পরে দেখুন সব ঠিকঠাক আছে কিনা।
বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উইন্ডো শপিংয়ের জন্য যান। মানে না কিনে আগে থেকে ঘুরে ঘুরে দেখে আইডিয়া নিন। আপনার পছন্দের ডিজাইন, উপকরণ, রং এবং বাজেটের মধ্যে কোন শাড়িটি পছন্দ হয়। প্রয়োজনে ছবি তুলে নিন কয়েকটির, এরপর সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।
বিয়ের শাড়ি বলে কথা, একদমই তাড়াহুড়ো নয়, সময় নিয়ে অবশ্যই বর-কনে দু’জনের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন জীবন শুরু করুন-বিয়ের শাড়িতে।
ছবি: Wedding Diary Bangladesh
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এসআইএস