মহামারি করোনা থেকে মুক্তির নানা উপায় বের করতে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই মহামারি রোগের সঙ্গে লড়ছে বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ।
এদের মধ্যে অনেকেই আবার সেরেও উঠছেন। কিছুটা সময় নিয়ে হলেও ফিরতে চেষ্টা করছেন স্বাভাবিক জীবনে।
যারা করোনা থেকে সেরে উঠছেন তাদের অনেকেরই শরীরে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবডি। যা করোনা আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সক্ষম। আর এই অ্যান্টিবডি রযেছে যাদের শরীরে তারা চাইলে আক্রান্ত কারো জীবন রক্ষায় প্লাজমা দিয়ে এগিয়ে আসতে পারেন। আর এজন্য তার শরীরের কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ শ্মুয়েল শোহ্যাম বলেন,
• প্লাজমা দান করলে শরীরে অ্যান্টিবডির অথবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। এমনটি ভাবার কোনো কারণ নাই
• সেরে ওঠার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তার আয়ু কয়েক মাস
• এই ক'মাসই অন্যদের সাহায্য করার সুযোগ পাওয়া যাবে
• একজন মানুষের শরীরে থাকা অ্যান্টিবডির খুবই সামান্য অংশ প্লাজমা রক্ত থেকে সংগ্রহ করা হয়
• প্লাজমা দেওয়ার পরপরই প্লাজমা তৈরিও হয়ে যায়
• এমনকি সপ্তাহে দু'বার প্লাজমা দিলেও শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে না
• কোভিড থেকে সেরে ওঠার দু’সপ্তাহ পর প্লাজমা দিতে পারবেন।
বিভিন্ন হাসপাতালে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। ফেসবুকেও অনেক গ্রুপ রযেছে, যেখানে যাদের প্লাজমা প্রয়োজন তারা পোস্ট দিচ্ছেন, আবার যারা প্লাজমা দিতে আগ্রহী তারাও এগিয়ে আসছেন।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কোভিড ১৯-এর চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি সকল রোগীর ওপর সন্দেহাতীতভাবে কাজ করে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০
এসআইএস