ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

চরিত্র, মানসিকতা, ব্যবহার সব পাল্টে দেয় গ্রাফোথেরাপি! 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
চরিত্র, মানসিকতা, ব্যবহার সব পাল্টে দেয় গ্রাফোথেরাপি! 

গ্রাফোথেরাপি নতুন শব্দ মনে হচ্ছে? আসলে আমাদের হাতের রেখা অ্যানালাইসিস করে চরিত্র, মানসিকতা ও ব্যবহারের নানা দিক বিশ্লেষণ করাই গ্রাফোথেরাপি। অপ্রচলিত এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন ভারতের জয়পুরের নবীন তশনিওয়াল।

 

নবীন তশনিওয়াল বলেন, হাতের লেখা দেখে একটা মানুষের অতীত-ভবিষ্যৎ বলে দেওয়া যায় না। গ্রাফোঅ্যানালিসিস দিয়ে শুধু একজনের চরিত্র, মানসিকতা, ব্যবহার- এগুলো বোঝা যায়।  

আজকাল তো অনেকেই হাতে প্রায় লেখেই না। কিবোর্ডে লেখে। সেইসব মানুষদের লেখা দেখেও বোঝা যাবে। যখনই কেউ লিখবে, তখনই তার হাতের লেখায় সে সময় তার মনের ওপর দিয়ে কী যাচ্ছে এবং তার তখনকার চরিত্র-মানসিকতা সব ফুটে উঠবে। ফলে বিশ্লেষণ করতে সমস্যা নেই।

সুন্দর হাতের লেখা দেখলে আমরা অনেক সময় তাকে ভালো মানুষ ভাবি। কিন্তু হাতের লেখা ভালো বা খারাপ হতেই পারে। তার সঙ্গে মানসিকতার ভালো-মন্দ বলে কিছুই নেই। ভালো হাতের লেখার মানুষের মনেও অনেক তথাকথিত খারাপ প্রবণতা থাকতেই পারে বা এর উল্টোটা।

১৪ বছরের নীচে কারও গ্রাফোঅ্যানালিসিস করা উচিত না। ওই বয়সের পর নিজস্বতার ছাপ পড়ে হাতের লেখায়। কারণ ছোট বয়সে যার কাছে হরফ চিনি, তার প্রভাব পড়ে শিশুদের লেখায়।

আসলে গ্রাফোঅ্যানালিসিসের দিক থেকে স্বাক্ষরের গুরুত্ব খুব কম, ০.৫ শতাংশ। স্বাক্ষর করতে গিয়ে হাতের টানে একই বর্ণ খুব কমবারই রিপিট হয়। তাই চরিত্র বিশ্লষণে আমরা স্বাক্ষরকে গুরুত্ব দিই না। তাছাড়া ব্যাংক বা দরকারি জায়গায় সাইন মেলানোর জন্য একটা অতিরিক্ত আর্থসামাজিক চাপও থাকে মনেরওপর। ফলে লেখা দিয়ে ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণ করতে এক পৃষ্ঠা লেখা পেলে সুবিধা হয়। তাতে বর্ণগুলো ভালো বোঝা যায়। আমি শুধু দেখব, তিনি যখন একটানা লিখেছেন তখন তার হাতে লেখা বর্ণগুলোকে, আরও সঠিকভাবে বললে, বর্ণের স্ট্রোকগুলোকে। সেখান থেকেই প্রসেস শুরু। আমি সেই লেখা খতিয়ে দেখে তার চরিত্রের দিকগুলো বলব। এরপর তিনি যদি চরিত্রের বা ব্যবহারের নির্দিষ্ট কোনো দিক পাল্টাতে চায়, তাহলে বর্ণের ‘স্ট্রোক’ কীভাবে পাল্টাতে হবে সেটা আমি দেখিয়ে দেব।

কিছু বর্ণ লেখায় পরিবর্তনের মাধ্যমে থেরাপিটা আসলে দেওয়া হয়। ২১ দিন থেকে ৩০ দিনের কোর্স। প্রতিদিন মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় নিজের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করলেই হয়। ব্যক্তিত্ব গঠনের ছোট ছোট দিকগুলো যেমন সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে, তেমনি আত্মহত্যাপ্রবণতা কমিয়ে মানুষকে জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব গ্রাফোথেরাপির মাধ্যমে। প্রয়োজন শুধু সচেতনতা।  

নবীন তশনিওয়াল

নবীন তশনিওয়াল 

গ্রাফোথেরাপিস্ট

[email protected].

whatsapp number

+91 9929133365

 

 

 

 

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।