বন্যায় কবলিত পাহাং (মালয়েশিয়া) থেকে ফিরে: মালয়েশিয়ায় বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর দেশটির অর্থনীতিতে কিছুটা ধস নেমে এসেছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগবে বলেও মনে করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় জনগণ বলছেন, স্মরণকালের ইতিহাসে এমন ভয়াবহ বন্যা আর হয়নি। আর এতে যে ক্ষতির পরিমাণ হয়েছে-তা ছিল কল্পনাতীত।
দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যার পানি নামতে শুরু করায় অনেক অধিবাসী আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের বসত ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এরই মধ্যে বন্যা কবলিত মালয়েশিয়ায় দক্ষিণ-পর্ব অঞ্চলে বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটির সম্পদশালীরা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন। বাংলাদেশ কমিউনিটিও এই দুর্দিনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশী কমিউনিটির একনেতা বাংলানিউজকে বলেন, যে কোনো দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। বিগত দিনে আমাদের বিভিন্ন দুর্যোগে মালয়েশিয়া আমাদের পাশে ছিল। আমরাও তাদের পাশে ্আছি।
তিনি জানান, অনেক বাংলাদেশি এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে উন্নত জীবন-যাপন করছেন। দেশে টাকা পাঠিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন। এদেশকে তারা বাংলাদেশের মতোই ভালোবাসে।
এদিকে বাংলাদেশ কমিউনিটির পাশাপাশি বাংলাদেশি ব্যাবসায়ীরাও মালয়েশিয়ানদের এই দুর্দিনে এগিয়ে এসেছেন। দুর্গতদের মধ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে।
পানির মধ্যে দাঁড়িয়েই বাংলাদেশি উদ্যমী তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
মালয়েশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে গত ১৪ জানুয়ারি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজ্জাক নিজ নির্বাচনী এলাকা পাহাং এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
ত্রাণ বিতরণকালে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ শহীদ, রাশেদ বাদল, লিটন আবাদ, আব্দুল করিম ,রুবেল , অ্যাডভোকেট মিনহাজ উদ্দিন মিরান, শফিকুর রহমান চৌধুরী,নাজমুল হাসান, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ আলমগীর, কামাল উদ্দিন রানা, মোহাম্মদ খলিল মাতবর, মো. নাসির ডালি, মোহাম্মদ আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ চান মিয়া এবং মোহাম্মদ আবুল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫