মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ন’টায় হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও কর্মকর্তা ছাড়াও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজনে ছিল গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলেচনায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কনস্যুলার (শ্রম) মো. সাইদুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কনস্যুলার রইস হাসান সরোয়ার, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কমার্শিয়াল উইং ধনঞ্জয় কুমার দাস এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি মোসলেমা নাজনীন।
হাইকমিশনের শ্রম উইং কর্মকর্তা শাহিদা সুলতানার পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন-মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. রেজাউল করিম রেজা, যুগ্ম-আহবায়ক মো. শাহীন সরদার, মাহতাব খন্দকার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন মজনু, যুবলীগের আহ্বায়ক মো. তাজকীর আহমেদ, শ্রমিক লীগের নাজমুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসীম ওয়াজেদ প্রমুখ।
আলেচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি এম এস কে শাহীন, নাজনীন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদুর রহমান অহিদ, মকবুল হোসেন মুকুল, রাশেদ বাদল, কামরুজ্জামান কামাল, শাখাওয়াত হক জোসেফ, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু হানিফ, মনসুর আল বাশার সোহেল, শ্রমিক লীগের সোহেল বিন রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শহীদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালনের সময় দেখেছি, সবাই বঙ্গবন্ধুকে এক নামে চেনেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের কথা কারো অজানা নয়।
‘বিশ্বের মানুষ যেভাবে এখনও বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে তাতে আমি বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করি,’ বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রবাসীদের হাতে হাত রেখে কাজ করার আহ্বান জানান শহীদুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, নৃত্য এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও উপস্থিত বক্তৃতা।
আলোচনা শেষে প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন হাইকমিশনার।
আলোচনা সভা শেষে জাতির জনকের জন্মদিনের কেক কাটেন হাইকমিশনার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫