ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

মালয়েশিয়া

লাখ টাকায় কোটিপতি হোন আপনিও

জাকারিয়া মন্ডল, সিনিয়র আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
লাখ টাকায় কোটিপতি হোন আপনিও ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মাত্র লাখ টাকা বিনিয়োগে কোটিপতি হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে মালয়েশিয়ায়। আর এ সুযোগ দিচ্ছে অল্প পয়সায় সহজ শর্তের গাড়ি। চাইলে মালাক্কা প্রণালী পাড়ের এই দেশটিতে প্রবাসী যে কোনো বাংলাদেশি খুব সহজেই গাড়িতে চড়ে বনে যেতে পারেন ধনকুবের।

কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া) থেকে: মাত্র লাখ টাকা বিনিয়োগে কোটিপতি হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে মালয়েশিয়ায়। আর এ সুযোগ দিচ্ছে অল্প পয়সায় সহজ শর্তের গাড়ি।

চাইলে মালাক্কা প্রণালী পাড়ের এই দেশটিতে প্রবাসী যে কোনো বাংলাদেশি খুব সহজেই গাড়িতে চড়ে বনে যেতে পারেন ধনকুবের।

এজন্য লোকাল গ্যারান্টার আর ব্যাংক লোন তো লাগবেই না, দরকার হবে না ভিসারও। ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী তো বটেই, দিন হাজিরা হিসেবে কাজ করা শ্রমিক আর মালয়েশিয়ায় পড়তে আসা বাংলাদেশি ছাত্ররাও খুব সহজেই এ সুযোগ নিতে পারেন।

এজন্য প্রয়োজন পড়বে মাত্র ৬ হাজার রিঙ্গিত (১ রিঙ্গিতে ১৮ টাকা)। সঙ্গে কেবল পাসপোর্টের ইনফো পেজ আর বিদ্যুৎ বা পানি বিলের কপি হলেই চলবে। তবে প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার রিঙ্গিতেরও প্রয়োজন নেই। গ‍াড়ি কিনে কোটিপতি হওয়ার দৌড়টা শুরু করা যাবে মাত্র ৩শ’ রিঙ্গিত নগদ হাতে নিয়েই।

প্রথমে এজআরকারট্রেডের মেম্বর হতে হবে ৩শ’ রিঙ্গিতে। মাসখানেকের মধ্যে তার সঙ্গে আরো ৫ হাজার ৭শ’ রিঙ্গিত মিলিয়ে ৬ হাজার পুরো করলেই গাড়ি দিয়ে দেবে কোম্পানি।

আর গাড়ি হাতে পেয়েই ভাড়া দিয়ে দেওয়া যাবে রেন্ট এ কারে। মালয়েশিয়ার সুপরিচিত ট্যাক্সি সার্ভিস গ্র্যাব, ‍উবার ও ডেলিক্যাব এই গাড়ির ভাড়া দেবে মাসে ৩ হাজার রিঙ্গিত। গাড়ির মেইনটেন্যান্সও তাদেরই। তার মানে বাড়তি কোনো হ্যাপা নেই। পড়াশোনা বা অন্য কোনো পেশায় ব্যস্ত থেকেও অনায়াসে এ ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া যাবে।

কেবল মাস শেষে ৮শ’ রিঙ্গিত ইনস্টলমেন্ট দিতে হবে কোম্পানিকে। তার মানে প্রথম মাস শেষে হাতে থাকবে ২ হাজার ২শ’ রিঙ্গিত। দ্বিতীয় মাসে এটা বেড়ে হবে ৪ হাজার ৪শ’। তিন মাস শেষে ৬ হাজার ৬শ’ রিঙ্গিত দাঁড়াবে নিট মুনাফা। তার মানে তৃতীয় মাস শেষে ৬ হাজার রিঙ্গিতে পাওয়া যাবে আর একটি গাড়ির মালিকানা। তারপরও হাতে থাকবে আরো ৬শ’ রিঙ্গিত। চতুর্থ মাস শেষে প্রথম গাড়ির আরো ২ হাজার ২শ’ টাকা মুনাফা যোগ হলে ব্যালান্স বেড়ে হবে ২ হাজার ৮শ’ রিঙ্গিত। এবার কিন্তু এর সঙ্গে যোগ হবে দ্বিতীয় গাড়ির আরো ২ হাজার ২শ’ রিঙ্গিত মুনাফা। তার মানে চতুর্থ মাস শেষে মোট মুনাফা দাঁড়ালো ৫ হাজার রিঙ্গিত।

পঞ্চম মাস শেষে দু’টি গাড়ির আরো ৪ হাজার ৪শ’ রিঙ্গিত যোগ হয়ে মোট মুনাফা দাঁড়াবে ৯ হাজার ৪শ’ রিঙ্গিত। এর মধ্যে ৬ হাজার রিঙ্গিতে তৃতীয় গাড়িটি কিনলে হাতে থাকবে আরো ৩ হাজার ৪শ’ রিঙ্গিত। ষষ্ঠ মাস শেষে এর সঙ্গে যোগ হবে ৩টি গাড়ির ৬ হাজার ৬শ’ রিঙ্গিত মুনাফা।

এবার মোট মুনাফা হবে ১০ হাজার রিঙ্গিত। এর মধ্যে ৬ হাজার রিঙ্গিতে চতুর্থ গাড়িটি কিনলে হাতে থাকবে আরো ৪ হাজার রিঙ্গিত। কিন্তু সপ্তম মাস শেষে মুনাফা আসবে ৪টি গাড়ি থেকে। তার মানে হাতে থাকা ৪ হাজার রিঙ্গিতের সঙ্গে আরো ৮ হাজার ৮শ’ রিঙ্গিত যোগ হবে। এবার মোট মুনাফা হবে ১২ হাজার ৮শ’ রিঙ্গিত। তাই অষ্টম মাস শেষে ১২ হাজার টাকায় আরো দুটি নতুন গাড়ি কেনা যাবে। তারপরও ৮শ’ রিঙ্গিত রয়ে যাবে। কিন্তু নবম মাস শেষে মুনাফা আসতে থাকবে ৬টি গাড়ি থেকে। এর অর্থ হলো ১৩ হাজার ২শ’ টাকা মুনাফার সঙ্গে হাতে থাকা ৮শ’ রিঙ্গিত যোগ হয়ে মোট ব্যালান্স হবে ১৪ হাজার রিঙ্গিত। নতুন করে ১২ হাজার টাকায় আরো দু’টি গাড়ি কেনা যাবে এবার। হাতে রয়ে যাবে আরো ২ হাজার রিঙ্গিত। গাড়ি হবে মোট ৮টি।

দশম মাস শেষে তাই ৮টি গাড়ি থেকে মুনাফা আসবে ১৭ হাজার ৬শ’ রিঙ্গিত। এর সঙ্গে হাতে থাকা ২ হাজার রিঙ্গিত যোগ হয়ে মোট ব্যালান্স হবে ১৯ হাজার ৬শ’ রিঙ্গিত। এবার নতুন করে ৩টি গাড়ি পাওয়া যাবে ১৮ হাজার টাকায়। তারপরও ১ হাজার ৬শ’ রিঙ্গিত হাতে রয়ে যাবে। আর গাড়ির সংখ্যা দাঁড়াবে ১১টি।

এগারোতম মাস শেষে ২৪ হাজার ২শ’ টাকা মুনাফা আসবে ১১টি গাড়ি থেকে। এর মধ্যে ৬ হাজার করে আরো ৪টি নতুন গাড়ি পাওয়া যাবে। তারওপর অবশিষ্ট ২শ’ এর সঙ্গে ১ হাজার ৬শ’, মোট ১ হাজার ৮শ’ রিঙ্গিত জমা রয়ে যাবে। কিন্তু ১২তম মাস শেষে গাড়ির সংখ্যা হবে ১৫টি।

এবার ১৫টি গাড়ি থেকে আয় আসবে ৩৩ হাজার রিঙ্গিত। জমা থাকা ১ হাজার ৮শ’ রিঙ্গিতসহ মোট ব্যালান্স হবে ৩৪ হাজার ৮শ’ রিঙ্গিত। মানে ৩০ হাজার টাকায় আরো ৫টি নতুন গাড়ি পাওয়া যাবে। কাজেই ১৩তম মাস শেষে ৪ হাজার ৮শ’ রিঙ্গিত তো হাতে রইলোই, উপরন্তু ২০টি গাড়ি থেকে মাসে মাসে ৪৪ হাজার রিঙ্গিত করে আসতে থাকবে মুনাফা। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৮ লাখের কাছাকাছি।

কিন্তু এবার নতুন গাড়ি যোগ করার নেশা থামাতে হবে এখানেই। কেননা এক নামে সর্বোচ্চ ২০টি গাড়িই নেওয়া যাবে এমন কিস্তিতে। যদিও এ হিসাবটা ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার রিঙ্গিত মূল্যমানের গাড়ি ধরে করা। আর মেয়াদ ধরা সর্বোচ্চ ৯ বছরের। কিন্তু ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার, ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ২ লাখ এবং ২ লাখোর্ধ্ব মূল্যমানের আরো ৪টি ক্যাটাগরিতে এভাবে কিস্তিতে গাড়ি মিলছে। আর মাসিক কিস্তি ‍উঠানামা করছে ৭শ’ থেকে হাজার রিঙ্গিতের মধ্যে। আরো বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে পারলে ৯ বছর নয়, সর্বনিম্ন দু’বছরের কিস্তি ধরেই ২০টি গাড়ির মালিক হওয়া যাবে। তাহলে মাত্র লাখ টাকা বিনিয়োগে কোটিপতি হতে ক’দিন সময় লাগবে আর?

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
জেডএম/এটি

আরও পড়ুন...

** বিনা ভাড়ায় ঘুরুন কুয়ালালামপুরে
** শিকারি কুমিরের সঙ্গে কোলাকুলি
**আকাশের হেলান দিয়ে মসজিদ ভাসে ওই​
** প্রলয় নৃত্যে হতবাক দর্শক
**নরমুণ্ডু শিকারী মুরুত গাঁওয়ে​
** মুসলিম বাজাউরাই বিত্তশালী বোর্নিওতে
**কলসির ভেতর লুনদায়েহ কবর
**লঙহাউজের রুঙ্গুস রাণী​
**বনের ভেতর দুসুন গাঁও
** এক বাজারেই পুরো বোর্নিও
**বোর্নিওতে কী পেতে পারে বাংলাদেশ
** সুলু সাগর তীরের হেরিটেজ ট্রেইলে
** সূর্য ভাল্লুকের সঙ্গে লুকোচুরি
** ওরাংওটাং এর সঙ্গে দোস্তি
** অচেনা শহরের আলোকিত মানুষ
** সাড়ে ৫ হাজার ফুট উঁচু রাস্তা পেরিয়ে
**সাত ঘণ্টাতেই শেষ রাজধানী চক্কর
** সিগনাল হিলে আকাশ ভাঙা বৃষ্টি
** চীন সাগরে মেঘ-সুরুযের যুদ্ধ
** মালয় তরুণীর বিষাদমাখা রাতে
** জিভে জল আনা বাহারি সি-ফুড
** চীন সাগর পেরিয়ে ওরাংওটাংদের দেশে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মালয়েশিয়া এর সর্বশেষ