ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শোকগাথা

সাবেক স্পিকার মালেক উকিল এর মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
সাবেক স্পিকার মালেক উকিল এর মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

ঢাকা: সাবেক স্পিকার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মালেক উকিল এর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এতে প্রধান অতিথি থাকবেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি একরামুল করিম চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান।

আলোচনায় অংশ নেবেন-নোয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম জাফরউল্লাহ, মরহুমের জ্যেষ্ঠপুত্র গোলাম মহিউদ্দিন লাতু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহীন, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল ওদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র সহিদ উল্লাহ খান সোহেল, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট উমর ফারুক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু নাসের, সুবর্ণচর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরী প্রমুখ।

আইনজীবী ও রাজনীতিক আবদুল মালেক উকিল ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। পরের বছর তিনি এমএ পাস করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৫২ সালে নোয়াখালী বারে তিনি অ্যাডভোকেট হিসেবে তার পেশাদার জীবন শুরু করেন।

ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি পূর্ব বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি, ঢাকা হাইকোর্ট বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৬৬ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধীদলীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

আবদুল মালেক উকিল ১৯৫৬, ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে পরপর পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তিনি প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের ও সম্মিলিত বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। ছয়দফা আন্দোলনকালে নিরাপত্তা আইনে তিনি কারাবরণ করেন। ১৯৭০ সালে নোয়াখালী-৪ আসন থেকে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে তিনি প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের সাহায্য ও পুনর্বাসন কমিটির সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে এক সংসদীয় দলের সদস্য হিসেবে তিনি নেপাল সফর করেন।

মালেক উকিল বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং নতুন মন্ত্রিসভায় তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালে তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য এবং সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।