ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে: মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২২
প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে: মন্ত্রী

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত না হলে আমাদের বিদেশনির্ভর থাকতে হতো। মাছ আমদানি করতে হতো।

কোরবানির চাহিদা মেটাতে ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি করতে হতো। এখন আমরা বিদেশমুখী নই।  

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এখন পৃথিবীর ৫০টির বেশি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হয়। কোন কোন দেশে মাংস রপ্তানি শুরু হচ্ছে। এ খাতে দেশে আন্তর্জাতিক মানের মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার ও গবেষণাগার তৈরি হয়েছে।  
সম্প্রতি যে তিনটি দেশ মৎস্য উৎপাদনে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সাভারে বিসিএস লাইভস্টক একাডেমি মিলনায়তনে ৪০তম বিসিএস (লাইভস্টক) ও বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে নতুন যোগদান করা কর্মকর্তাদের পাঁচ দিনব্যাপী অবহিতকরণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

লাইভস্টক ক্যাডারের ১৫২ জন এবং মৎস্য ক্যাডারের নবযোগদানকৃত ২৩ জন কর্মকর্তা অবহিতকরণ কোর্সে অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী নবীন কর্মকর্তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

মন্ত্রী বলেন, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম খাবারের বড় একটি অংশ। এগুলো উৎপাদন না হলে দেশে খাদ্য সংকট হতো। পুষ্টি ও আমিষের যোগানে সংকট তৈরি হতো।  

তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির সচল রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। এই খাত বেকারত্ব দূর করছে। উদ্যোক্তা তৈরি করছে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করছে। দেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত অন্যতম অংশীদার। এ খাতকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হচ্ছে। সেই ব্যবস্থার ক্যাপ্টেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সেই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের নাগরিকদের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে মেধার সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটাতে হবে। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, একটি শ্রেণি আছে, যারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, রাষ্ট্রব্যবস্থা ধ্বংস করতে চায়, সাম্প্রদায়িকতা ফিরিয়ে আনতে চায়। সেসব মানুষের দ্বারা কখনও বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার দৃপ্ত প্রত্যয় যারা ব্যাহত করতে চায়, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।  

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও এ টি এম মোস্তফা কামাল, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির পরিচালক ডা. পীযূষ কান্তি ঘোষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮,২০২২
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।