ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অর্থনীতির ভিত মজবুত করছেন পার্বত্যাঞ্চলের নারীরা’ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
‘অর্থনীতির ভিত মজবুত করছেন পার্বত্যাঞ্চলের নারীরা’ 

ঢাকা: পার্বত্যাঞ্চলের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করতে পাহাড়ি গ্রামীণ নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।  

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের নারীরা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যগত জ্ঞানের ধারক ও বাহক।

পার্বত্য অঞ্চলে পরিবেশ সুরক্ষা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। নারীরা হলো পর্বত সম্পদের সুরক্ষাকারী ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবক।  

রোববার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য বিষয়ক সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম।  এ সময় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন।  

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের কারণেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড় ও সমতলে সমান উন্নয়ন হচ্ছে। পাহাড় এখন আর পিছিয়ে পড়া কোনো জনপদ নয়। পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটনখাত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক রাখছে।  

তিনি বলেন, পাহাড়ের জুম চাষে নারীদের ভূমিকা অনেক। পাহাড়ি ঝরনা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পানির চাহিদা মেটায় পাহাড়ি নারীরা। পর্বতের নারীরা কৃষক, পর্বতের নারীরা ব্যবসায়ী, পর্বতের নারীরা কারিগর, উদ্যোক্তা এবং সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে অধিষ্ঠিত হচ্ছে।  

তিনি জানান, গ্রামীণ নারীদের সম্পদ সুরক্ষা, পরিষেবা এবং সুযোগ সুবিধাগুলোর প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নারীদের চলার পথকে সুগম করে দিতে হবে। তাহলেই নারীরা ক্ষুধা, অপুষ্টি এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে।

বিগত সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে সংঘটিত প্রতিটি দুর্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে বলেও জানান বীরবাহাদুর।  

তার মতে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পার্বত্য অঞ্চলের জান-মালের নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করেছে। আমি আশা করি, এটি একটি সমন্বিত উদ্যোগ।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সময়োচিত উদ্যোগের ফলে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছিল উল্লেখ করে বীর বাহাদুর বলেন, ঐতিহাসিক এ শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দুই যুগের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটে। এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ফলে পার্বত্য অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।