ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাকিস্তানের দোসরদের দেশে থাকার অধিকার নেই: ইন্দিরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
পাকিস্তানের দোসরদের দেশে থাকার অধিকার নেই: ইন্দিরা ছবি: বাংলানিউজ

মুন্সীগঞ্জ: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, আজ স্বাধীনতার পরাজিত দোসরদের শক্তিরা বলছে, পাকিস্তান নাকি ভালো ছিল। তাদের দোসর তো পাকিস্তান আর এদেশের রাজাকাররাই।

আমি বলতে চাই, যারা পাকিস্তানকে ভালোবাসেন, যারা এখনো পাকিস্তানকে ভুলতে পারেন না। কিন্তু থাকেন আমাদের বাংলাদেশেই। তারা চলে যান পাকিস্তানে। এদেশে থাকার অধিকার আপনাদের নেই।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের সামনে ‘১১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলা হানাদার মুক্ত দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

এর আগে সকাল ১০টায়  জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বণার্ঢ্য বিজয় র‌্যালিতে অংশ নেন।

প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর ক্ষতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি হয়েছে। মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের কেউ খালি পায়ে, খালি গায়ে, খালি পেটে থাকে না। যারা এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলেছিলেন তারাই আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে প্রশংসা করছেন। এ যেন ভুতের মখে রাম রাম। আজ স্বাধীনতার পরাজিত দোসরদের শক্তিরা ষড়যন্ত্র করছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে। এখনও তারা এ দেশের উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছে না। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। মুক্তিযোদ্ধারা এখন সচ্ছল ও স্বনির্ভর।

প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা নিজের মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি অপারেশন হয়, সেই অপারেশনে আমি ও আমার দুই ভাই মুক্তিযোদ্ধা অংশ গ্রহণ করি। সেই অপারেশনে আমার ভাই জাহাঙ্গীর পাকহানাদার বাহিনীর হাতে শহিদ হয়।

১১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বণার্ঢ্য বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা হয়।  

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মুন্সীগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়।  

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. এনামুল এহসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন, সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল হাই তালুকদার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনিছ উজ্জামান আনিছ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাই মো. আল জুনায়েদ, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ভুলু তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।