ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব

নড়াইল: সদর উপজেলার ১২ নম্বর বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন আট সদস্য।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ফখরুল হাসানের কাছে প্রস্তাবের লিখিত জমা দেন ইউপি সদস্যরা।

অভিযোগপত্রের কপি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে। অভিযোগকারীরা হলেন- বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. পান্না বিশ্বাস (১ নম্বর ওয়ার্ড), খন্দকার মঈন উদ্দিন (২ নম্বর ওয়ার্ড), গাজী হাফিজুর রহমান (৪ নম্বর ওয়ার্ড), মো. আলী ইমাম সরদার (৫ নম্বর ওয়ার্ড), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৬ নম্বর ওয়ার্ড), সাধন কুমার বিশ্বাস (৯ নম্বর ওয়ার্ড) এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য হোসনে আরা বেগম ও রাজিয়া বেগম।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ নম্বর বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক গত এক বছর ধরে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত এলজিএসসপি, এডিবি, টিআর, কাবিটা, টিসিবি, ভিজিডি, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব নিজের ইচ্ছামতো ও পছন্দের লোক দিয়ে বাস্তবায়ন করছেন। পরিষদের ৮ সদস্যকে ডাকা হয় না। মাসিক মিটিং বা রেজুলেশনও করা হয় না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসব সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করা হয়। এছাড়া পরিষদের হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের ট্যাক্স আদায় করে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।

এ বিষয় ইউপি সদস্য আলী ইমাম সরদার বাংলানিউজকে বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় গত ৮ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে রুখালী গ্রামে আলমের চায়ের দোকানে আমাদের কয়েকজন মেম্বরের ওপর চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি মারধর করে। আমরা নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজ স্বচ্ছতার সাথে করে যাচ্ছি। কয়েকজন ইউপি সদস্য এসব কাজের মাধ্যমে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিতে চেয়েছিলে। সেই সুবিধা না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন।

তিনি আর বলেন, মেম্বররা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়ার কে? জনগণ যদি কখনো আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয় তাহলে পদত্যাগ করবো। এ সময় ইউপি সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনার তিনি ও তার লোকজনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন হেমায়েত হোসেন ফারুক।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বরত উপ-পরিচালক মো. ফকরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বিছালী ইউনিয়নের ৮ সদস্য উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। তদন্ত করে অভিযোগে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ