ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের জন্য মন্ত্রিসভায় উঠছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের জন্য মন্ত্রিসভায় উঠছে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পুরোনো ছবি

ঢাকা: ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসেব জমা দেওয়া ও গ্রেফতারের আগে অনুমতি’- এ বিষয়গুলো নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক। এরমধ্যেই এবার সরকারি চাকরি আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের জন্য উঠছে মন্ত্রিসভায়।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের এ আইনের অধীন কয়েকটি ধারায় পরিচালনায় সেই সব প্রতিষ্ঠান যুক্ত করে সংশোধনী আনা হয়েছে। স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্যও আইনটি প্রযোজ্য হবে।

সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী অবসরে যাওয়ার পর ‘গুরুতর’ কোনো অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তার অবসর-সুবিধা ‘আংশিক’ বা ‘সম্পূর্ণ’ বাতিলের বিধান যুক্ত হচ্ছে সংশোধনীতে। আইনের আওতায় স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা নির্ধারণের বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। এছাড়াও, সরকারি চাকুরেদের প্রতি পাঁচ বছর পর সম্পদের বিবরণী নিজ মন্ত্রণালয়ে জমাদানের নিয়ম বাদ দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হতে পারে।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২২’ সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের উত্থাপন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার নিজ কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বিদ্যমান আইনের ১, ৪৮ ও ৫০ ধারায় সংশোধনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। উক্ত আইনের ধারা ৫০ এর উপ-ধারা (১)এ উল্লিখিত ‘১৭’ সংখ্যার পরিবর্তে ‘১৫’ প্রতিস্থাপিত হবে।

ধারা ১ এর (৪ক)উপ-ধারা (৪) এর উদ্দেশ্য পুরণকল্পে এই আইনের ধারা ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ এর বিধানগুলো স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্যও প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কোন কোন ধারাগুলো প্রযোজ্য হবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আইনের ধারা ৪৮ এর সংশোধনীতে বলা হয়, উল্লিখিত ‘৫১’ এর পরিবর্তে ‘৪৯’ সংখ্যা প্রতিস্থাপিত হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করে গত ২৬ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদনের প্রস্তাবও করা হয়। আইনের সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের আইনটি কার্যকর করার পর থেকে এ যাবত কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে তা সংশোধন করা হচ্ছে। আইনের বিভিন্ন ধারা নিয়ে আদালতে রিটও চলমান রয়েছে।

২০০৩ সালে প্রথম আইনটির খসড়া তৈরি করা হয়। তখন আইনটির নাম ছিল ‘সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট’। ২০১৩ সালে খসড়াটি পরিবর্তন করা হয়। এরপর সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট নাম বদলে ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী আইন’ রাখা হয়। ২০১৮ সালে আইনটির নাম করা হয় ‘সরকারি চাকরি আইন’।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এমআইএইচ/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।