ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্মাণ শেষে বরগুনায় ৪টি স্কুলকাম সাইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
নির্মাণ শেষে বরগুনায় ৪টি স্কুলকাম সাইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর

বরগুনা: বাংলাদেশে সিডর আক্রান্ত এলাকায় বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রামের (দ্বিতীয় পর্ব) আওতায় ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) কর্তৃক নির্মিত বরগুনা সদর, বেতাগী, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ৪টি স্কুলকাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ কাজ শেষে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনা সদর ও বিকেলে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাদের কাছে ভবনের চাবি হস্তান্তর করেন।

গর্জনবুনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল বাশারের হাতে চাবি তুলে দেন সদর উপজেলা ইউএনও মো. কাওছার হোসেন। বেতাগী উপজেলার উত্তর করুন আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাবি হস্তান্তর করেন ইউএনও মো. সুহৃদ সালেহীন।

স্বাক্ষর শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাবি তুলে দেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (প্রোগ্রাম) প্রধান পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকেরক (প্রোগ্রাম) কর্মসূচি সমন্বয় অফিসের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. আরিফ শহিদ, বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ প্রোগ্রামের সমন্বয়ক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ রেজাউল করিম, সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম।

গর্জনবুনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ কাম সাইক্লোন শেল্টারটির প্রথম তলার আয়তন ৫৭৪.৩৭ বর্গ মিটার, দ্বিতীয়তলা ৩৬৯.৭৭ বর্গ মিটার, তৃতীয়তলা ৪৬২.১২ বর্গ মিটার, ছাদের ফ্লোর ৪৮৭.৬২ বর্গ মিটার, র‌্যাম্প ৫৯.৯২ বর্গ মিটার। প্রথমতলার উচ্চতা ৪.৮+১.২=৬.০ মিটার, আর বেতাগীতে ৩.০+০.৯= ৩.৯ মিটার।

প্রতিটি শেল্টারে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন ধারণক্ষমতা ২০০০ জন, গবাদি পশুর রাখা যাবে ৫০০টি। ক্লাস করার জন্য রয়েছে ৬টি কক্ষ। শিক্ষার্থী বসতে পারবে ২৪০ জন। প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ১টি, শিক্ষকদের কক্ষ ১টি, জরুরি চিকিৎসা কক্ষ ১টি, জরুরি খাদ্য সংগ্রহ কক্ষ ১টি। ভবনগুলো ৬ মিটার সহনশীল ঢেউয়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা ও প্রতি ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার সহনশীল বাতাসের সর্বোচ্চ গতি রুখতে পারবে।

 এছাড়াও রয়েছে সোলার পাওয়ার সিস্টেম। যার প্যানেলের ধারণ ক্ষমতা ২.৫ কিলোওয়াট পাওয়ার ইনভার্টার ১৪০০ ভোল্ট- অ্যাম্পিয়ার। তা দিয়ে ৪৬টি পাখা ও ৯টি বাল্ব ৬ ঘণ্টা চলবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে রয়েছে ১১০০০ লিটার ধারণ ক্ষমতার ট্যাংকি। যথেস্ট আসবাবপত্রসহ রয়েছে স্কাইলাইট ৮টি।

উল্লেখ্য, এই কর্মসূচির প্রথম পর্বে মোট ১৭২টি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় পর্বের অধীনে মোট ১৩টি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারের মধ্যে ৪টি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।