ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা: গয়েশ্বরের মন্তব্যের সমালোচনা শহীদকন্যা নুজহাতের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা: গয়েশ্বরের মন্তব্যের সমালোচনা শহীদকন্যা নুজহাতের

ঢাকা: শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেছেন ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিতর্কিত মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।   গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বলেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণামূলক বক্তব্যে তার সেই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সমালোচনা করেন ডা. নুজহাত চৌধুরী।

তিনি বলেন, একাত্তরে যুদ্ধ চলাকালে আমার মা প্রতিদিন বলতেন ‘বাবা কেন বাড়ি ছেড়ে চলে যান না’। তখন বাবা বলতেন ‘সবাই যদি সীমান্ত পাড়ি দেয় দেশের ভিতরের কাজ কারা করবে?’ বাবাকে দেখে আত্মীয়স্বজনরাও তখন কথা বলতেন না। গোপন কাজগুলো করার জন্যই বাবা ঢাকায় ছিলেন।

আর এ কাজের সূচনা হয় ১৯৬২ সালে। তখন ডা. আলীম চৌধুরীর চেম্বারে বঙ্গবন্ধু ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা গোপন মিটিং শুরু করেছিলেন। দেশ স্বাধীনের লক্ষ্যে গোপন সংগঠন শুরু করেছিলেন বলে দাবি করেন ডা. নুজহাত চৌধুরী।

তিনি বলেন, একজন আমলার মাথাব্যাথা হলেও সর্বোচ্চ চিকিৎসক লাগবে কিন্তু রিকশাওয়ালার মাথায় টিউমার হলেও ভাল চিকিৎসক পাবেন না। কিন্তু আলিম চৌধুরী চেয়েছিলেন দরিদ্রবান্ধব চিকিৎসা ব্যবস্থা গণমুখী চিকিৎসা ব্যবস্থা হয়েছে কি বাংলাদেশে? আলিম চৌধুরীরা বেঁচে থাকলে প্রগতিশীল ব্যবস্থা, দরিদ্রবান্ধব হতো, সমাজতান্ত্রিক হতো। সেই সমাজ থেকে আমরা যোজন যোজন দূরে।

ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক, সংস্কৃাতিক দিক থেকে দেশকে পিছিয়ে ফেলার জন্যই আলিম চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছে।  একজন অভিজিৎকে মারার প্রতিবাদ করতে গেলে ভয় করে, যেন আমাকেও মেরে ফেলতে পারে। একজন বঙ্গবন্ধুকে হারালে, তাজউদ্দীনকে হারালে দেশের কী থাকে?

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এছাড়া শহীদ পরিবারের সদস্য আরমা দত্ত এমপি, তানভীর হায়দার চৌধুরী, শমী কায়সার ও রোকাইয়া হাসিনা নীলি একাত্তরের স্মৃতিচারণ করেন।

অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ 
এনবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।