ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ‘কর্তৃপক্ষ’ চায় টিআইবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ‘কর্তৃপক্ষ’ চায় টিআইবি

ঢাকা: চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়ম, দুর্নীতির ফলে জনস্বাস্থ্য ব্যাপক হুমকির মুখে পড়েছে। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ‘কর্তৃপক্ষ’ গঠনসহ ১১টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনে সংস্থাটি সুপারিশগুলো করে। এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপারিশ
১. চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সমন্বয়, তদারকি ও তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করতে ‘কর্তৃপক্ষ’ গঠন করতে হবে এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে।  

২. আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন করতে হবে।  

৩. পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় সুস্পষ্টভাবে চিকিৎসা বর্জ্যকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে।  

৪. চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন/পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।  

৫. চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সক্ষমতা ও কার্যকরতা বাড়ানোর জন্য এ ক্ষেত্রটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক বরাদ্দ বাড়াতে হবে।  

৬. চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে; প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ইটিপি ও এলাকভিত্তিক কেন্দ্রীয় ইনসিনারেটর স্থাপন করতে হবে এবং দক্ষ জনবল দ্বারা চিকিৎসা বর্জ্য পরিশোধন ও অপসারণ করতে হবে।

৭. চিকিৎসা বর্জ্যের ঝুঁকি সম্পর্কে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসা বর্জ্যকর্মী ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

৮. সিটি করপোরেশন/পৌরসভায় চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদাভাবে জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ করে তুলতে হবে।  

৯. চিকিৎসা বর্জ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা দিতে হবে।

১০. কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরি করে উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমাণ সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করতে হবে।  

১১. পুনর্ব্যবহার ও পুনঃচক্রায়নযোগ্য চিকিৎসা বর্জ্যের অবৈধ ব্যবসা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।