ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিল্প মন্ত্রণালয়ে ই-লাইব্রেরি ও ডে-কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
শিল্প মন্ত্রণালয়ে ই-লাইব্রেরি ও ডে-কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন

ঢাকা: মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে কাজ করার সুবিধার্থে শিল্প মন্ত্রণালয় ভবনে অত্যাধুনিক ই-লাইব্রেরি ও ডে-কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয় ভবনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ই-লাইব্রেরি উদ্বোধন করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের মতো একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা/পাঠ্যাভ্যাস বাড়াতে সহায়তা করবে ও জ্ঞান অনুসন্ধানে উদ্বুদ্ধ করবে।  

ডে-কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করে তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পঞ্চম তলায় স্থাপিত ডে-কেয়ার সেন্টারটিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস চলাকালীন তাদের ছোট শিশুদের রাখতে পারবেন। এতে তারা শিশু নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন।  

ই-লাইব্রেরি উদ্বোধনকালে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, বাংলাদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এ ধরনের উদ্যোগ প্রথম। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রকাশিত আর্টিকেল, জার্নাল ও বিভিন্ন প্রকাশনা ই-লাইব্রেরিতে সংরক্ষণ করা যাবে। ই-লাইব্রেরি একটি ইন্টেলেকচুয়াল স্টোরেজ হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনা ও ম্যাগাজিন সহজে বিশ্বের যে কেউ দেখতে ও পড়তে পারবে, যা মন্ত্রণালয়ের ব্র্যান্ডিং সহজতর করবে।  

উল্লেখ্য, শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিচতলায় স্থাপিত ই-লাইব্রেরি একটি অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর লাইব্রেরি, যেখানে মনোরম পরিবেশে মুদ্রিত বইয়ের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক বই বা ই-বুক পড়ার সুবিধা থাকছে। ৯৫০ বর্গফুট জায়গার এ লাইব্রেরিতে প্রায় ২০০০ বইয়ের সমাহার থাকবে, যা ই-লাইব্রেরি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনুসন্ধান করা যাবে। সরকারি বন্ধের দিন ব্যতীত অফিস চলাকালীন লাইব্রেরিতে বই পড়া ও বই ইস্যু করা যাবে।  

ব্যক্তিগত আইডি ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেক কর্মকর্তা/কর্মচারী ই-লাইব্রেরিতে যুক্ত হয়ে ক্যাটাগরিভিত্তিক বই অনুসন্ধানের পাশাপাশি বই ধার নিতে বা পড়তে পারবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট করায় খুব সহজে বই উত্তোলন/জমাদান সংক্রান্ত ডাটাবেজ মেইনটেন করা যাবে এবং কার কাছে কতটি বই ফেরত দেওয়ার জন্য পেন্ডিং আছে তার তথ্য খুব সহজে বের করা যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।