ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেশ গড়তে দুর্নীতি দমনে কাজ করার আহ্বান দুদক চেয়ারম্যানের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
দেশ গড়তে দুর্নীতি দমনে কাজ করার আহ্বান দুদক চেয়ারম্যানের

ঢাকা: দেশ গড়তে কমিশনের সব কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।  

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

দুদক চেয়ারম্যান তার বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি আরও স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লক্ষাধিক মা-বোনদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহিদ বঙ্গমাতাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবার অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সকল স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতিবিরোধী বক্তব্য থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে, সেগুলোকে ধারণ করতে হবে এবং কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে। প্রকৃত দেশপ্রেমিকরা কখনো দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারে না। দেশকে ভালোবাসলে কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে দেশের ক্ষতি করতে পারে না।  

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রশ্ন রাখতে হবে নিজের কাছে - আমরা নিজেরা দুর্নীতিমুক্ত কিনা। আত্মসমালোচনার মাধ্যমেই আমরা সংশোধন হতে পারব। আমাদের দেশ থেকে দুর্নীতি দূর হবে। আমরা একটি উন্নত দেশ উপহার দিতে চাই। আর এ দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সঠিকভাবে দুর্নীতি দমনে কাজ করে যাওয়া। এ সময় তিনি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের  প্রকৃত ইতিহাস জানানোর আহ্বান করেন।

কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। আমরা এখনও সেই সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সংগ্রামে সফল হতে হলে আমাদের কথা ও আচরণে সমন্বয় থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের প্রকৃত অর্থে তাকে অনুসরণ করতে হবে এবং আমাদের কাজে তার বাস্তব প্রতিফলন থাকতে হবে।  

আলোচনা অনুষ্ঠানে দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, আমরা স্বাধীনতার পর গত ৫১ বছরে অনেক সূচকে এগিয়ে গিয়েছি কিন্তু দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে আমাদের এ উন্নতি টেকসই হবে না। দুঃখজনকভাবে অগ্রগতির পাশাপাশি আমাদের সমাজে বৈষম্যও  বেড়েছে। বৈষম্য দূর করার জন্য আমরা যদি কাজ করতে পারি সেটাই হবে আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করা। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এখনো অবহেলিত। একে ঢেলে সাজাতে হবে। এখনও শিক্ষিত লোক দুর্নীতিগ্রস্ত এ অপবাদ আমাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তাই আমাদের দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কাজে প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কমিশনের সচিব  মো. মাহবুব হোসেন। এছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা করেন রাঙামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সফিউল্লাহ।  

জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেন রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আব্দুল করিম। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন মহাপরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ।

বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব, সব মহাপরিচালক, পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা।  

এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সব বিভাগীয়  কার্যালয়ের পরিচালক ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালকরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ 
এসআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।