ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চালকের যোগসাজশে পথিমধ্যে উধাও গার্মেন্টস পণ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
চালকের যোগসাজশে পথিমধ্যে উধাও গার্মেন্টস পণ্য

ঢাকা: রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের রপ্তানির চোরাই গার্মেন্টস পণ্যসহ সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)। তারা হলেন- তাওহিদুল কাউছার (৪২), নাজিম (৩৫), মাসুদ (৩৫), দুলাল (৪৫), মিরাজ উদ্দিন (৩৩), আব্দুল আল মাসুদ (৩০) ও সাইফুল ইসলাম (২২)।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে একটি কাভার্ডভ্যান ভর্তি গার্মেন্টসপণ্যসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান জানান, গার্মেন্টসপণ্য রপ্তানির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে নেওয়ার সময় কিছু কাভার্ড ভ্যান থেকে প্রায়ই ৩০-৪০ ভাগ পণ্য উধাও হয়ে যেতো। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পথিমধ্যে কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে গার্মেন্টস পণ্য চুরির সময় প্রায় ২৫ হাজার পিস পোশাকসহ ৭ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, আশুলিয়া ও গাজীপুর থেকে বিভিন্ন দেশে রপ্তানির গার্মেন্টস মালামাল চুরিতে জড়িত থাকার বিষষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত চালকদের সঙ্গে মিলে একটি দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্র গঠন করে। পরে কাভার্ড ভ্যান থেকে ডাকাতি করে সেসব পণ্য স্থানীয় মার্কেটে চোরাইপথে কমদামে বিক্রি করে দিত।

এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি সাধারণত ড্রাইভারের সঙ্গে সখ্যতা তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রলোভনে নির্জন এলাকায় পণ্যভর্তি কাভার্ড ভ্যান পার্কিং করাতে রাজি করাতো। এরপর কৌশলে কাভার্ড ভ্যানের সিলগালা তালা না খুলে পাশের ওয়ালের নাট-বল্টু খুলে কার্টুনের মধ্যে থাকা মালামালের ৩০-৪০ ভাগ রেখে দিয়ে আবার কার্টুন সঠিকভাবে বাঁধাই করে কাভার্ড ভ্যানে লোড করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতো।

এতে ফ্যাক্টরি মালিক ও বন্দর কর্তৃপক্ষ কেউই সন্দেহ করতে পারতো না। কার্টুনের মালামালের ওজন ঠিক রাখার জন্য যে পরিমাণ মালামাল চুরি করে সরিয়ে রাখতো ঠিক সে ওজনের ঝুট ভেতরে দিয়ে দিতো তারা। ফলে বন্দরে স্ক্যানিং কিংবা ওয়েট মেশিনে কোনো ধরনের অনিয়ম ধরা পড়তো না।

তিনি বলেন, তাওহীদুল বাকিসহ আটকরা অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে নিয়ে একটি সক্রিয় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র তৈরি করে। তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় গার্মেন্টস পণ্য লুণ্ঠনের দায়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এই চক্রটি গার্মেন্টস মালামাল চুরি করার ফলে বিদেশি ক্রেতারা সঠিকভাবে মালামাল ডেলিভারি না পাওয়ার কারণে মূল্য পরিশোধ করতো না এবং পরবর্তীতে তারা নতুন ক্রয় আদেশও দিত না। ফলে দিন দিন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পের ঐতিহ্য ও সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
পিএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।