নরসিংদী: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২২ দিন জেল খাটলেন আসামি। এরপর জেল থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরেই মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা করলেন তিনি।
শনিবার সকালে নরসিংদীর হাজিপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসাদ মিয়ে হামলা চালান মামলার বাদী কাদির মিয়ার বাড়িতে। এসময় তারা কাদিরকে কুপিয়ে জখম করেন। আহত কাদিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই শহরের হাজীপুর এলাকা ও ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত কাদির মিয়া বদরপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক।
আটকরা হলেন, আসাদ মিয়ার মেয়ে মোসলেমা, নাতী নাঈম ও লিটন এবং লিটনের চাচা শ্বশুর আলতাফ মেম্বার।
নরসিংদী মডেল থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জমি ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাদিরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটক ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি জামিন নিয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আসামিরা। জমি নিয়ে বিরোধে হামলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কাদের মিয়া।
নিহত কাদিরের বাবা হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বড় ভাই আসাদ মিয়ার নেতৃত্বে তার নাতি, মেয়ে ও স্বজন নিয়ে আমার বাড়ির উঠানে এসে সবার চোখের সামনে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার ২২ শতাংশ জমি তারা জোর করে নিতে চায়। গত ২৫ মে তারা আমাকে ওই জমির জন্য কুপিয়েছিল। আমাকে কোপানোর ঘটনায় ছেলে কাদির তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ওই মামলায় ২২ দিন জেল খেটে সম্প্রতি তারা বাড়ি ফেরেন। ওই ক্ষোভে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ’
পুলিশ ও স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির উঠানে চেয়ারে বসেছিলেন কাদির। এ সময় আসাদ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকেন। তখন কাদির মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যান। পরে স্বজনরা তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষায় হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
এসএএইচ