ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আইনের শাসন-ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন, বিচারকদের প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
আইনের শাসন-ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন, বিচারকদের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

ঢাকা: দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যতক্ষণ আছি, এটুকু বলব, বাংলাদেশে আমাদের মানুষ যেন অন্তত আইনের শাসন পায়, সঠিক বিচার পায়। তাদের স্বার্থে এই জুডিশিয়াল সার্ভিসের জন্য যা যা করণীয়, তা আমরা করে দেবো।

তিনি বলেন, যতক্ষণ আছি কাজ করে যাব, তবে আমি চাই, সব মানুষই যেন ন্যায়বিচারটা পায়। দ্রুত মামলাগুলো যেন নিষ্পত্তি হয়। একটা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা যেন সৃষ্টি হয়। সেই পরিবেশটা যেন থাকে। সেটাই আমরা চাই।

মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিতে বিভিন্ন আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তো আইন প্রণয়ন করি। আপনারা (বিচারক) আইন ব্যবহার করেন। কাজেই সেখানেও যখন যেটা হয়, আমরা সংশোধন করি, আরও উন্নত করি। যা-ই করি, মানুষের কল্যাণে, মানুষের উন্নয়নে।

বিচার কাজ দ্রুত  সম্পন্নের আহ্বান জানিয়ে এবং এর সুফল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মোট সংখ্যা ১০১টি । এছাড়া ৭টি মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও স্থাপন করা হয়েছে। এগুলো এজন্য করা হয়েছে এ বিচারগুলো যত দ্রুত হবে, রায়গুলো যত তাড়াতাড়ি কার্যকর হবে, তত এ অপরাধগুলো কমে আসবে।

সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দ্রুত বিচার সম্পন্ন হলে  যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় তার আর হবে না।

সারা দেশে ই-জুডিসিয়ারি বাস্তবায়ন করা গেলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে আশা প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, ই-জুডিসিয়ারি চালু করা গেলে মামলা ব্যবস্থাপনায় আরও গতি আসবে। বিচারকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের জুডিসিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠা আমরা করে দেবো। সে সঙ্গে একটা আইনি বিশ্ববিদ্যালয় আমরা প্রতিষ্ঠা করব। আমি মনে করি যে, সর্বক্ষেত্রে ট্রেনিংটা একান্তভাবে দরকার।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইনসচিব গোলাম সারওয়ার, জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এএইচএম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬,২০২২
ইএস/এমইউএম/জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।