ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বপ্নের নার্সারির দেড় হাজার গাছ কাটল দুর্বৃত্তরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
স্বপ্নের নার্সারির দেড় হাজার গাছ কাটল দুর্বৃত্তরা

গাইবান্ধা: দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা বাবা-ছেলের স্বপ্নের নার্সারি ‘আসাদ-রওশন নার্সারি’। ছোট-বড় মিলে গাছের সংখ্যা অন্তত দেড় হাজার।

 

মরহুম বাবা শামছুল হকের রেখে যাওয়া স্বপ্ন পরম যত্নে বড় করে তুলছিলেন ছেলে আসাদ। কিন্তু প্রতিপক্ষের কুঠারের আঘাতে মুহূর্তেই সব শেষ। মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে নার্সারিটি। কেটে ফেলা হয়েছে সব গাছ।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর-কৃষ্ণপুর গ্রামের ওই নার্সারি ঘুরে দেখা যায়, সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা গাছগুলো চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। সেদিকে নির্বাক চেয়ে কাঁদছিলেন নার্সারির মালিক আসাদ মণ্ডল।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের শামছুল হক মণ্ডল বাণিজ্যিকভাবে নার্সারিটি গড়েছিলেন। নার্সারি থেকে যা আয় হতো, তা দিয়েই চলত সংসার। তার মৃত্যুর পর ছেলে আসাদ ব্যবসার হাল ধরেন।  

এদিকে একই গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে হালিম মিয়া, আয়েন উদ্দিনের ছেলে মুধু মিয়া ও রফিকুল মিয়া গংরা ওই নার্সারির জমি নিজেদের বলে দাবি করে আসছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন। আদালত ওই জমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আদেশ অমান্য করে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ হালিম মিয়া তার লোকজন নিয়ে দা’ ও কুড়াল হাতে ওই নার্সারিতে ঢুকে প্রায় দেড় হাজার ছোট-বড় গাছ কেটে ফেলেন।

ওই সময় স্থানীয় কাইছুল মণ্ডল ও সোহেল মণ্ডল বাধা দিতে গেলে তাদের পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। পরে কাইছুল ও সোহেলকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা।

ক্ষতিগ্রস্ত নার্সারি মালিক আসাদ বলেন, প্রতিপক্ষ হালিম, মধু ও রফিুকুল গংরা গায়ের জোরে জমিটি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার তারা হামলা চালিয়ে নার্সারির সব গাছ কেটে ফেলেছে। এর প্রতিকার চেয়ে রোববার সন্ধ্যায় সাদুল্লাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।  

এদিকে অভিযুক্ত হালিম মিয়া বলেন, কাগজপত্র অনুযায়ী জমিটির মালিক আমরা। কিন্তু আসাদ গংরা আমাদের দখলে দিচ্ছেন না। আর গাছগুলো কে বা কারা কেটেছে, সেটি জানা নেই।  

এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় জানান, গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী আসাদের একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।