ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জীবন রক্ষার দাবি করে সংখ্যালঘু পরিবারের আর্জি

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
জীবন রক্ষার দাবি করে সংখ্যালঘু পরিবারের আর্জি

মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গলে সরকারি জলমহাল লিজ বন্দোবস্ত নিয়ে মাছ চাষ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক অসহায় সংখ্যালঘু পরিবার। উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুনা গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন বিশ্বাস হাইল হাওরের বয়রা বিলে সরকারি জলমহাল এবং ব্যক্তি মালিকানায় প্রায় ১০৬ একর জমিতে মাছ চাষ করে আসছেন।

এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে অন্নপূর্ণা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় থেকে জলমহাল ইজারা রয়েছে প্রায় ৯২ একর। বাকি জমি ব্যক্তি মালিকানার।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে পরিবার ও নিজের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মনোরঞ্জন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, মৌলভীবাজার আটঘর এলাকার চিহ্নিত মামলাবাজ শেখ খোরশেদ আলমের মদদে বরুনা গ্রামের কলা মিয়া, দিলু মিয়া, মামুন মিয়া, নুরুল হক, তবারক মিয়াসহ কতিপয় ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এসব জলমহাল থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় মাছ লুটপাট ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি করে আসছে। প্রতিবাদ করলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে করে গত কয়েক বছরে প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।

গত ৮ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সেখানে পাহারাদার নিয়োগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২৫ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তরা দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জলমহালের নিযুক্ত পাহারাদার ও লোকজনদের ঘেরাও করে বেধড়ক মারধর করে। তারা জলমহাল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দুটি মাছ বোঝাই নৌকা জোর করে নিয়ে যায়। এনিয়ে কোথাও কোনো প্রতিকার মিলছে না। মনোরঞ্জন বিশ্বাস নিজেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি করে তার জান ও মাল এবং পরিবারের নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, বে-আইনিভাবে কেউ মাছ ধরলে মৎস্য কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিন তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে মামলা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
বিবিবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।