ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বীর মুক্তিযোদ্ধার পাকা ঘরের স্বপ্ন পূরণ করলো বসুন্ধরা গ্রুপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
বীর মুক্তিযোদ্ধার পাকা ঘরের স্বপ্ন পূরণ করলো বসুন্ধরা গ্রুপ

গাজীপুর: ভাঙা ঘরে চরম কষ্টে স্ত্রী গীতা রাণী দাসকে নিয়ে দিন কাটাতেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় দাস। ছিল না নতুন ঘর তৈরির সামর্থ্য।

শুধু স্বপ্নই দেখতেন একটি পাকা ঘরের। দুই কক্ষের একটি পাকা ঘর তৈরি করে দিয়ে তার সেই স্বপ্ন পূরণ করলো দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় দাস ও তার স্ত্রী গীতা রানী দাসের হাতে নবনির্মিত ঘরের চাবি তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা থাকছে ভাঙা ঘরে। বৃষ্টি আসলে ঘরের ভেতর পড়তো পানি, শীতে ঢুকতো হাড় কাঁপানো বাতাস। চরম কষ্টে দিন কাটতো ওই মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের। বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা। পরে মুক্তিযোদ্ধা বিজয় দাসের দুই কাঠা জমিতে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় কালের কণ্ঠ-শুভসংঘ দুই কক্ষের একটি পাকা ঘর তৈরির উদ্যোগ নেয়। এখন ঘর পেয়ে নিজ ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন ওই মুক্তিযোদ্ধা।

নতুন পাকা ঘরের চাবি তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কালের কন্ঠের উপ-সম্পাদক হায়দার আলী, গাজীপুর শুভসংঘের প্রধান উপদেষ্টা সমাজ সেবক মো. আকরাম হোসেন ও শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক মো. জাকারিয়া জামান। এছাড়াও গাজীপুর শুভসংঘের সভাপতি মুসাফির ইমরান, সদস্য আহসান, হাবিব, রিয়াজ, আলভী, ওমরা, কলি, উর্মি, নিলয়, আবু সালেহ মুসা, নওশীন, শ্রাবন, শামীম, এমরান ও হৃদয় প্রমুখ।

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘বিজয় দাসের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধারা অসীম সাহস ও বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন করেছেন। তাদের ঋণ শোধ করার মতো নয়। বিজয়ের মাসে তার জন্য ঘর তৈরি করে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিজয় দাসের মত অসহায় আরও মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে চায় বসুন্ধরা গ্রুপ’।

তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে, তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে ‘শুভ কাজে সবার পাশে’ এ স্লোগানে কাজ করে যাচ্ছে শুভসংঘ। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় দেশের অসহায় মানুষের কল্যাণে শুভসংঘ কাজ করে চলছে।    
    
হায়দার আলী বলেন, সরকারের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ দরিদ্র, এতিম, বিধবা ও পিছিয়ে পড়া নারীদের আত্মকর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিজয় দাসের মতো অসহায় মুক্তিযোদ্ধাকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার কাজটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত প্রশংসনীয়।    

এদিকে পাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা বিজয় দাস বলেন, ‘বৃষ্টিতে ভিজেছি, শীতে কষ্ট করেছি। সামর্থ্য না থাকায় কল্পনাতেও ছিল না মৃত্যুর আগে পাকা ঘরে ঘুমাব। বসুন্ধরা গ্রুপ পাকা ঘর তৈরি করে দিয়ে আমার কষ্টের অবসান করে দিয়েছে। আমি অনেক খুশি। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের কাছে আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া ও মঙ্গল কামনা করছি। তিনি যেন আমার মতো আরও হাজারো অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন। শুভসংঘের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২।
আরএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।