ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নতুন বছরে পর্যটকদের ডাকছে রাঙামাটি

মঈন উদ্দীন বাপ্পী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
নতুন বছরে পর্যটকদের ডাকছে রাঙামাটি ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটি: পুরনো বছরের বিদায়, নতুন বছরের আগমন সঙ্গে শীতের হিমেল হাওয়ায় ভ্রমণের স্বাদ নিতে পর্যটকরা ছুটছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অবসর সময় কাটানোর অন্যতম প্রিয় স্থান রূপ বৈচিত্র্যে সবুজে ভরা প্রশান্তির নগরী পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি।

একদিকে মিঠা পানির কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ, অন্যদিকে পাহাড়। এমন নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা ছুটে আসছেন রাঙামাটিতে।

দেশ ও দেশের বাইরে পর্যটন নগরী হিসেবে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে। একদিকে, কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ সবুজায়ন জলধারা। অন্যদিকে, সুউচ্চ পাহাড় পুরো জেলাকে অপরূপ বৈচিত্র্য দান করেছে। এমন রূপে মুগ্ধ হতে প্রতি বছর পর্যটকের আগমন ঘটলেও নতুন বছর উপলক্ষে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রাঙামাটি।

জেলার হোটেল-মোটেলগুলো বর্তমানে ৯০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রেস্তোরার মালিক ও স্থানীয় কাপড়ের দোকানিরা। স্থানীয় বোট চালকরা বোট ভাড়া দিতে পেরে বেজায় খুশি।  

জেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পট ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হ্রদ, সুবলং ঝরনা এলাকায় পর্যটকরা বেশি ভিড় করছেন। পর্যটকরা বলছেন- সময় পেলে পার্বত্য এ শহরে ছুটি আসি প্রশান্তির ছোঁয়া নিতে।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক দম্পতি সরকারি চাকরিজীবী সৈয়দ আশরাফ আলী বাংলানিউজকে বলেন, নতুন বছর উপলক্ষে কয়েকদিন রাঙামাটিতে থাকবো। পর্যটন করপোরেশনের কটেজে উঠেছি। ঝুলন্ত সেতু দেখা হয়েছে। এরপর কাপ্তাই হ্রদ, আসাম বস্তী ও কাপ্তাই সংযোগ ঘুরবো। এরপর কাপ্তাই উপজেলা ঘুরে ঢাকা ফিরে যাবো। বেশ ভাল লাগছে এ শহর ঘুরে।

তার স্ত্রী আসমা আশরাফ বাংলানিউজকে বলেন, বয়স হয়ে গেছে। এখন না ঘুরলে কখন ঘুরবো। রাঙামাটি অনেক সুন্দর। এখানকার প্রকৃতি মনে আনন্দ দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক দলের সদস্য মণিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নতুন বছরের পুরো দিন এখানে কাটাবো। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ঘুরতে এসেছি। বেশ ভাল লাগছে।

বেইন টেক্সটাইলের কর্মচারী শেলি চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, সারা বছর উল্লেখযোগ্য বেচাকেনা না হলেও এ মৌসুমে ভাল ব্যবসা হচ্ছে। আশা করছি নতুন বছরে বিক্রি আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে এবং আয়ও ভাল হবে।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, নতুন বছর উপলক্ষে রাঙামাটিতে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। যে কারণে হোটেল-মোটেলের ৯০ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে। আয়ের পরিধিও গত কয়েক দিনের তুলনায় বেড়েছে।

পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকলে নতুন বছরে পর্যটকের সমাগম বাড়বে। সরকারের রাজস্ব বহুগুণ বেড়ে যাবে।

রাঙামাটি আসবেন যেভাবে: রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি রাঙামাটির উদ্দেশ্যে গাড়ি ছাড়ে। সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ি, কমলাপুর, ফকিরাপুল স্টেশনে গিয়ে বাসযোগে রাঙামাটি চলে আসা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।