ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাঁচ বছর পর রাজশাহী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
পাঁচ বছর পর রাজশাহী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নেতাদের তৎপরতা

রাজশাহী: দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রাজনৈতিক কোনো সফরে রাজশাহী যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আাগামী ২৯ জানুয়ারি তার রাজশাহীতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

 

এদিন বিকেলে তিনি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোর চাইবেন। তাই এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

দলীয় সভাপতি ও সরকার প্রধানকে বরণ করে নিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিদিনই প্রস্তুতি সভা করছেন স্থানীয় নেতারা। তাই নতুন বছরের শুরুতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহী মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সমাবেশে প্রায় ৭ লাখ মানুষের সমাগমের প্রত্যাশা করছে আওয়ামী লীগ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলীয় প্রধানের আগমনী বার্তায় পুরো রাজশাহী জুড়েই নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। শুধু রাজশাহীতেই নয় এই বিভাগের আশপাশের জেলাগুলোতেও এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনী উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কারণ এটি আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের পর প্রথম কোনো নির্বাচনী সমাবেশ।

এরআগে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর এ ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা উপস্থিত জনতার কাছে আওয়ামী লীগের জন্য ভোট চেয়েছিলেন। এছাড়াও ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর বাগমারায় ও ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন তিনি। এছাড়া ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর পবার হরিয়ানের বিশাল জনসভায় হাজির হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এরপর গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় রাজশাহীতে এ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে রাজশাহীর সব নেতাকর্মী এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সিটি করপোরেশন এলাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা হচ্ছে।  

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগামী ১৪ জানুয়ারির পর এ সমাবেশ সফল করতে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, সমাবেশকে সামনে রেখে এখন পরিকল্পনা ও কাজ দুটোই চলামান রয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে পুরো পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। এতে ছয় থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মাদরাসা ময়দানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ঢল নামবে। আর এত মানুষ সামাল দেওয়া যাবে না। তাই মাদরাসা ময়দানের পাশে থাকা কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানেও মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টরের ব্যবস্থা করা হবে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাজশাহীর প্রবেশমুখসহ শহর জুড়ে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হবে। পুরো মহানগরীকে উৎসবের আমেজে সাজিয়ে দেওয়া হবে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী মূলত ভোট চাইতেই আসছেন। এছাড়া আমাদের কিছু প্রত্যাশাও আছে। সেগুলো তাকে জানাবো। যোগ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় নেতারা রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দান পরিদর্শন করেছেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে সেখানে রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের  সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় সম্মেলনের পর নতুন সভাপতিমণ্ডলীর  প্রথম সভায় এ সমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক তৎপরতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওই সভায় দলের প্রেসিডিয়ামের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। তাই তার আগমন ও সমাবেশকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
এসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।