ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শীতে কাঁপছে সারাদেশ, রাজধানীতে গরম কাপড় কেনার ধুম

তানভীর আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
শীতে কাঁপছে সারাদেশ, রাজধানীতে গরম কাপড় কেনার ধুম

ঢাকা: বাইছা বাইছা লন, যেটা নেবেন একশ, একদাম একশ। বছরের প্রথম জুম্মার নামাজ শেষে শুকওবার (৬ জানুয়ারি) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ থেকে বের হতে না হতেই গেটের সামনে এভাবে হাক দিচ্ছিলেন হকাররা।

বছরের শুরুতেই রাজধানীসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কোথাও কোথাও বয়ে যাচ্ছে শৈত প্রবাহ। তার প্রভাবে রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমহল থেকে শুরু করে ফুটপাতেও বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রির ধুম।

শুক্রবার রাজধানীর পণ্টন, গুলিস্থান, মতিঝিলের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও তীব্র শীতে গরম কাপড় কেনার ভীড় সবখানেই। বড় শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানে সব শ্রেণির ক্রেতাদের ভিড়। বড় শপিং মলে নতুন কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় তুলনামূলক একটু কমদামী কাপড়ের দোকানের দিকে বেশি ঝুঁকছেন সাধারণ ক্রেতারা। শিশু ও বয়স্কদের শীতের কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। এসব কাপড়ের মধ্যে হুডি সোয়েটারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া মাথার টুপি, ফুলহাতা গরম কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদাও রয়েছে চোখে পড়ার মতো।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশের গেটের সামনের হকার ইকবাল ফরহাদ ভ্যানে বিক্রি করছেন হুডি সোয়েটার, ফুলহাতা গেঞ্জি। দাম তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, কয়েক দিন শীত বেশি পড়ায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের শীতের কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে।

কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসেছেন রফিক উদ্দিন, কাজ শেষ করে বিকেলেই ফিরবেন। তিনি বলেন, শীত বেশি পড়ায় এবার গরম কাপড় বেশি লাগছে। তাই এখান থেকে কিনে নিচ্ছি। আর এখানে দামও কম, পছন্দ মতো পাওয়া যায়।

তবে, বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। একদিকে দৈনন্দিন সংসার চালানোর চাপ, অন্যদিকে শীতের বাড়তি তীব্রতা। ফুটপাতের দোকানগুলোতে মধ্যবিত্তের পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষের ভিড় রয়েছে বেশ। রিকশাচালক আসাদ জানান, এবার শীত বেশি হওয়ায় গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। কিন্তু পেটের তাগিদে গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়েছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ ভাড়া কম। শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে কম বের হচ্ছে, তাই রাস্তায় যাত্রী কম।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

দিন ও রাতের তাপমাত্রায় পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে। ঢাকায় উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
টিএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।