ভোলা: ভোলায় বাড়ছে শীতের প্রকোপ। এতে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ।
নিহত শিশুর নাম মুনতাহা (৪ মাস)। সে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে।
এছাড়াও জেলায় গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৩৭ শিশু। বর্তমানে সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে চিকিৎসাধীন আছে ৬২ শিশু। যাদের বেশিরভাগ নিউমোনিয়া আক্রান্ত।
ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইমা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে উপকূলীয় জেলা ভোলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। এ কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীত কষ্টে ভুগছেন বাঁধের ওপরের বাসিন্দারা।
আবহাওয়া অফিসের অবজারভার মো. মাহবুব রহমান জানান, ভোলায় দিনের তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ঘণ্টায় ৩ নটিক্যাল।
শনিবার সকাল গড়িয়ে দুপুর বয়ে গেলেও মেলেনি সূর্যের দেখা, ঘন কুয়াশায় মোড়ানো ছিল বিস্তীর্ণ জনপদ। হাড়কাঁপানি শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হত দরিদ্র মানুষ। বেশিরভাগ দিনমজুর কাজে যেতে পারছেন না। জেলা প্রশাসনের বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল থাকায় সবার ভাগ্যে জোটেনি গরম কাপড়।
এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জেলায় ৩০ হাজার পিস কম্বল বরাদ্দ হয়েছে। যা অসহায় দুস্থ এবং ষাটোর্ধ্বদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ পেলে বিরতণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৩
আরএ