ঢাকা: ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় মেয়ের পর মারা গেছেন মা জোছনা বেগম (২৫)।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন। তিনি জানান, জোছনার শরীর ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার কুমড়াইল কবরস্থান সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে দগ্ধ হন- জোছনা বেগম (২৫), তার স্বামী গার্মেন্টসকর্মী মনজুরুল (৩২), মেয়ে মরিয়ম (১.৫), বোন হোসনা (৩০) ও আরেক বোনের মেয়ে সাদিয়া (১৮)।
শনিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরিয়মের মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকরা জানান, বাকি তিনজনের অবস্থাও গুরুতর।
তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মো. নিজাম শেখ জানান, ভোরে তারা যখন ঘুমিয়েছিলেন তখন বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। এরপর ভবনের নিচতলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচতলায় গিয়ে দেখেন বাসাটির ভেতর পাঁচজন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। আর আগুনে বিছানার কিছুটা পুড়ে গেছে। তখন তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান।
স্বজনদের ধারণা, ভোরে রান্নার জন্য আগুন জ্বালানোর পর লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ হয়ে তারা দগ্ধ হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মৃত মোস্তফা মইনুদ্দিনের মেয়ে জোছনা। আর তার স্বামী মনজুরুলের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
এজেডএস/আরবি