মাগুরা: মাগুরায় শীতের তীব্রতা কমলেও হাসপাতালগুলোতে শিশু রোগীর সংখ্যা কমেনি। প্রতিদিন ডায়রিয়া, নিউমনিয়া, ঠাণ্ডাকাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা।
মাগুরা ২৫০ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা ২০টি সেখানে শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে ১০০ জন। এ সব রোগীর মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই ডায়রিয়া, নিউমনিয়া ঠাণ্ডাকাশি নিয়ে ভর্তি। বতর্মানে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ২৫ জন পুরুষ, নারী শিশু রোগী রয়েছে ২২ জন। অন্যান্য রোগীর ৫০ জন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, নামে মাত্র ২৫০ শয্যা হাসপাতাল হলেও সেটা খাতা কলমে সীমাবদ্ধ। এখন ১০০ শয্যার বেড দিয়ে চলছে মাগুরা জেলা হাসপাতালের কার্যক্রম। শিশু ওয়ার্ডে নার্স সংখ্যা রয়েছে ১৮ জন। ডাক্তার সংখ্যা ৫ জন। বেড সংখ্যা রয়েছে ২০টি। জনবল সংকটের কারণে ব্যহত হচ্ছে এ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা।
শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক স্বজন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ভাল থাকলেও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ।
মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোবাসার বেগম বলেন, হাসপাতালে এমনিতেই শিশু ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা কম। সেখানে শিশু রোগীর সঙ্গে একাধিক ভিজিটর থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা পড়তে হয় তাদের।
হাসপাতালের জুনিয়র শিশু কনসালন্টেট ডাক্তার মোহম্মদ তানভির ইসলাম বলেন, শীতকাল এলেই হাসপাতালগুলোতে বেড়ে যায় শিশু রোগীর সংখ্যা। তারমধ্যে শিশু ওয়ার্ডে ঠাণ্ডা কাশি ও নিউমনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ সময় বাড়তি যত্মসহ শিশুদেও কুয়াশা ঠাণ্ডা থেকে দুরে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
এসএম