নীলফামারী: ব্যস্ততম এক সড়কের প্রায় মাঝখানে রাখা হয়েছে একটি ১১ হাজার ভোল্টের ভ্রাম্যমাণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। গেল এক সপ্তাহ ধরেই ট্রান্সফরমারটি এভাবেই পড়ে আছে।
পথচারীদের সতর্ক করার জন্য এতে লেখা হয়েছে, ‘ডেঞ্জার, হাই ভোল্টেজ। ১১,০০০ ভোল্ট। বিপদজনক’।
সতর্কবার্তাটি ছোট্ট করে লেখা থাকলেও বিপদ কিন্তু বড়। কারণ ট্রান্সফরমার পেরিয়েই আছে স্কুল ও কলেজ।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌর শহরের ব্যস্ততম কিছুক্ষণ মোড় নামের এলাকার এভাবে রাখা হয়েছে সচল একটি ট্রান্সফরমার।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার আগের ট্রান্সফরমারটি গত এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ বিভাগ ওই ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার বসিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখে। ট্রান্সফরমারটি এভাবে রাখায় পথচারী ও যানবাহন চলাচলও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে শত শত যানবাহন ও পথচারী।
দুশ্চিন্তার বিষয় ট্রান্সফরমারের কিছু দূরেই রয়েছে তুলসিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মহিলা মহাবিদ্যালয়। এ দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এ ট্রান্সফরমারের পাশ দিয়েই যাতায়াত করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের ওপর বড় লোহার খাঁচা। খাঁচার ভেতরে ট্রান্সফরমার। এর পাশ দিয়ে যানবাহন চলছে। ট্রান্সফরমারের প্রায় গা ঘেঁষে চলছে পথচারীরাও। কয়েকজন শিশুকে ট্রান্সফরমারের পাশ ঘেঁষে বিদ্যালয় থেকে ফিরতে দেখা যায়। এসব শিশু জানিয়েছে, ট্রান্সফরমারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ভয় লাগে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার ছোট শিশুরা এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় খেলার ছলে ট্রান্সফরমারের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ট্রান্সফরমারটি এখানে বেশি দিন থাকলে যেকোনো সময় সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে ফেলা উচিত।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, দু-এক দিনের মধ্যেই নতুন ট্রান্সফরমার বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর বসানো হবে। তখন বিকল হয়ে যাওয়া পুরোনো ট্রান্সফরমারটির পাশাপাশি সড়কের ওপরে থাকা
ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটিও সরিয়ে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসএএইচ