ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২ তরুণীর ফাঁদে পড়ে মোটরসাইকেল হারান বাক প্রতিবন্ধী, অতঃপর..

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
২ তরুণীর ফাঁদে পড়ে মোটরসাইকেল হারান বাক প্রতিবন্ধী, অতঃপর.. গ্রেফতার ব্ল্যাকমেইল চক্রের চার সদস্য

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাক প্রতিবন্ধী এক যুবককে দুই তরুণী দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় পরিবারের কাছে। টাকা না পেয়ে ওই প্রতিবন্ধীর মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় চক্রটি।

 

এ ঘটনায় দুই তরুণীসহ ওই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ডিবি পুলিশের সোর্স।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে অভিযুক্তদের ঢাকার ডেমরা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।  

গ্রেফতাররা হলেন - ঢাকার ডেমরা থানার বাশেরপুলের বাবু মিয়ার ছেলে মো. রাজু (২০), একই থানার বাশের পুলের বাবুর ভাড়াটিয়া মো. ইউসুফের ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন ওরফে বিপ্লব (২৯), ফারুকের ভাড়াটিয়া মো. মিজানের মেয়ে ইসরাত জাহান জুয়েনা (১৯) ও মো. হাসানের মেয়ে মো. সাথী (১৯)।

গ্রেফতারদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন ওরফে বিপ্লব জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সোর্স বলে জানা যায়।

এর আগে রোববার সকালে ঘটনার শিকার বাক প্রতিবন্ধী যুবক রাজিব সরকারের ছোট বোন মাহিন আক্তার শান্তা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। রাজিব সরকার ঢাকার সবুজবাগ থানার মানিকদিয়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে।  

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির।  

তিনি বলেন, দুই তরুণীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী এই পরিকল্পনায় জড়িত রয়েছেন। ছিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রেফতাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার ২ তরুণী বেড়ানোর কথা বলে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী ফতুল্লার পোস্ট অফিস রোডস্থ একটি বাড়িতে নিয়ে আসে বাক প্রতিবন্ধী যুবক রাজিব সরকারকে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন বিল্লাল, রাজুসহ পোস্ট অফিস রোড এলাকার বেশ কয়েক সন্ত্রাসী। সেখানে আসা মাত্র তরুণীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রাজিব সরকারকে মারধর করে তারা। এক সময় তারা রাজিব সরকারের পরিবারের সদস্যদর ফোন করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। পরদিন সকালে রাজিব সরকারকে তারা ছেড়ে দেয়। তবে রাজিবের ব্যবহৃত ২ লাখ ২০ হাজার টাকার দামের (টিভিএস-২০১৮ মডেল) মোটরসাইকেল, একটি মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মুক্ত করে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
এমআরপি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।