ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশকে যখন পশ্চাৎপদ করা হচ্ছিল, তখন গাফফার চৌধুরী কলম ধরেছেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
দেশকে যখন পশ্চাৎপদ করা হচ্ছিল, তখন গাফফার চৌধুরী কলম ধরেছেন

ঢাকা: স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে দেশকে যখন পশ্চাৎপদ করা হচ্ছিল, তখন আব্দুল গাফফার চৌধুরী কলম ধরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

একই সঙ্গে সরকারকে পরামর্শ দেওয়াসহ, যখনই কোনো অসংগতি দেখেছেন, সেটির ব্যাপারে আব্দুল গাফফার চৌধুরী কলম ধরেছেন বলে জানান তিনি।

 

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে মোনায়েম সরকার সম্পাদিত ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মারক গ্রন্থে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মারক গ্রন্থ’ প্রণয়নের জন্য সম্পাদক মোনায়েম সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

শতাধিক গ্রন্থপ্রণেতা বিশিষ্ট রাজনীতিক ও বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের মহাপরিচালক মোনায়েম সরকারের সভাপতিত্বে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান শরীফ, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, বাংলা টিভির চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গণি, গ্রন্থটির সহ-সম্পাদক ড. দিনাক সোহানী ও অপূর্ব শর্মা বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রয়াত আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘের মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অভিষিক্ত। আমাদের দুই প্রবাসী সালাম এবং রফিক এ বিষয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তা দ্রুততম সময়ে রাষ্ট্রের পক্ষে জাতিসংঘে পাঠিয়েছিলেন বিধায় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’- আব্দুল গাফফার চৌধুরীর এই কালজয়ী গানটি বিশ্বময় নিজ নিজ ভাষায় গাওয়া হয়।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী শুধুমাত্র গান রচনার মধ্যেই তার সৃজনশীল কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রেখেছেন তা নয়। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে দেশকে যখন পশ্চাৎপদ করা হচ্ছিল, তখন আব্দুল গাফফার চৌধুরী কলম ধরেছেন।
 
তিনি বলেন, যে বা যারাই ক্ষমতায় থাকুক, যখনই কোনো অসংগতি দেখেছেন, সেটির ব্যাপারে আব্দুল গাফফার চৌধুরী কলম ধরেছেন, এমন কি আমাদের সরকারকে পরামর্শ দিতে গিয়ে কলম ধরেছেন, প্রয়োজনে আমাদের সমালোচনাও করেছেন।

ড. হাছান বলেন, একজন কলমযোদ্ধা তেমনই হওয়া উচিত। তিনি তেমনই একজন মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুর এক বছরের মাথায় এই বইটি সম্পাদনা করার জন্য আমি মোনায়েম সরকারকে শ্রদ্ধা জানাই, সম্মান জানাই। বইয়ের সম্পাদনা পরিষদে যারা ছিলেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। সুলতান শরীফ ভাইয়ের বয়স ৮৩ বছর। এখানে আসার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। মোনায়েম সরকার দেখতে তরুণ কিন্তু বয়স মাত্র ৮০।

বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের সহায়তায় আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ৪১৬ পৃষ্ঠার ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মারক গ্রন্থ’টিতে প্রায় ৮০টি নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, গাফফার চৌধুরীর কবিতা ও গল্প রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
জিসিজি/আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।