ঢাকা: বর্তমানে দেশে অন্ধত্বের হার কমে এক শতাংশে নেমেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে তৃতীয় পর্যায়ে চার বিভাগে ১৩টি জেলার ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ৪৫টি কমিউনিটি ভিশন আই কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন বেলা ১১টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ৪৫টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, চক্ষু রোগসহ অসংক্রামক রোগ দেশে বাড়ছে। এ রোগগুলোর মাধ্যমে ৬৭ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বাড়ছে, এর যত্রতত্র ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে একটি আইন প্রণয়ন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আই কেয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে চক্ষু চিকিৎসার নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়। বর্তমানে দেশে অন্ধত্বের হার এক শতাংশ। যা ২০ বছর আগের জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ কম। চোখের ছানিজনিত অন্ধত্ব যা আগে ১১ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৫ লাখ ১৭ হাজার। বর্তমানে ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ছানি রোগী রয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, পঞ্চাশোর্ধ্ব জনগণের মধ্যে ভারতে অন্ধত্বের হার পৌণে দুই শতাংশ। নেপালে আড়াই শতাংশ, সেখানে আমাদের দেশে দেড় শতাংশ। ত্রিশোর্ধ্ব জনগণের মধ্যে পাকিস্তানে অন্ধত্বের হার পৌনে তিন শতাংশ, সেখানে আমাদের দেশে শূন্য দশমিক সাত শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল আই কেয়ার অপারেশনাল প্লানের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, যেমন জেলা সদর হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চক্ষু সেবার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করে যাচ্ছি। প্রতি বছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল আই কেয়ার অপারেশনাল প্লানের মাধ্যমে বিনামূল্যে আড়াই লাখের অধিক ছানি রোগীকে লেন্স সংযোজন করে স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতে প্রতিটি লেন্স লাগাতে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলের মানুষের চক্ষু সেবা কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কোনো বিকল্প নেই। এ কমিউনিটি ভিশন সেন্টার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ডিজিটাল প্রযুক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
আরকেআর/জেএইচ