সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মিতু আক্তার (২৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের ডেফলবাড়ি গ্রামে শ্বশুড়বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মিতু আক্তার ওই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী ওমর আলীর স্ত্রী ও ভোলা জেলার লালমোহন থানার তারাগঞ্জ গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সকালে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় ছেলে-মেয়েকে শাশুড়ির কাছে রেখে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যান মিতু। দুপুরেও ঘুম থেকে উঠছিলেন না তিনি। পরে জানালার গ্লাস ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
উল্লাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলম জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, নিহতের বড় ভাই আলাউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, তাদের তিন ভাইয়ের একমাত্র বোন মিতু। ৭ বছর আগে ডেফলবাড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে ওমর আলীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর ওমর আলীর কুয়েত যেতে চাইলে তাদের দাবি মোতাবেক আমরা দুই লাখ ২০ হাজার টাকা দেই। ওমর আলী বিদেশে যাবার পরও মিতুর শ্বশুর টাকা দাবি করতে থাকেন। তাদের চাহিদা মতো টাকা না দিতে পারায় একাধিকবার মিতুকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক শালিসি বৈঠকও হয়েছে। কয়েকদিন আগে মিতুকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। মিতুর শ্বশুর-শাশুড়ি তার স্বামীর পাঠানো টাকাও তাকে দেওয়া বন্ধ করে দেন।
তিনি দাবি করে বলেন, তার বোনের আত্মহত্যা করার কোনো কারণ ছিলো না। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বোনজামাইয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তিনিও বলেছেন, কথা বলার সময় মিতু স্বাভাবিকই ছিলো।
আজ (১৮ জানুয়ারি) সকালে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মিতুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আলাউদ্দিন।
সিরাজগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে মরদেহ ফ্লোরে শোয়ানো অবস্থায় পেয়েছে। তবে গলায় ওড়না পেঁচানো ছিলো। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এনএস