ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হোমিওপ্যাথিক কলেজের নিয়োগে অনিয়ম, অধ্যক্ষের ছেলেই প্রার্থী 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
হোমিওপ্যাথিক কলেজের নিয়োগে অনিয়ম, অধ্যক্ষের ছেলেই প্রার্থী 

পাবনা: পাবনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অনৈতিক লেনদেন ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে জনবল নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।  

এছাড়া নিজের ছেলের নিয়োগ পরীক্ষা ও প্রক্রিয়া সহজ করতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে অন্য প্রার্থীকে বাদ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ৬টি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে প্রভাষক পদে ৩টি এবং মেডিকেল অফিসার, হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নৈশপ্রহরী ও সুইপার পদে একজনের পদ উল্লেখ করা হয়। আগামী ২০ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

আবেদনে প্রায় ৪০ জনের অধিক প্রার্থী আবেদন করেন। তবে বাছাই প্রক্রিয়ায় অধিকাংশ প্রার্থীকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রভাষক পদে ৩ জনের বিপরীতে ৮ জনকে পরীক্ষার জন্যে নির্ধারণ করা হয়, এই পদে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ছেলেও রয়েছেন। মেডিকেল অফিসার পদে একজনকেও রাখা হয়নি।  

হিসাবরক্ষক পদে ৬ জন ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ৩ জনকে পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়েছে। এছাড়া নৈশপ্রহরী ও সুইপার পদের বিপরীতে শুধুমাত্র একজন করেই পরীক্ষা দেবেন।  

বেশ কয়েকজন আবেদনকারীর অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস সালাম নিজের ছেলেসহ অনৈতিকভাবে পছন্দের লোককে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করছেন। এজন্য যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আবার কয়েকটি পদে মাত্র একজনকেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। ৮টি পদের বিপরীতে মাত্র ১৯ জনকে রাখা হয়েছে। দেখা যাবে এই ১৯ জনের বেশ কয়েকজন পরীক্ষাই দেবেন না। ফলে পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতে সুবিধা হবে।  

তবে অনৈতিকভাবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পাবনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুস সামাদ।  

তিনি বলেন, সব নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আর পরীক্ষা হবে ডিসি অফিসে। আমার ছেলে পরীক্ষা দিলেও আমি নিয়োগ বোর্ডের থাকব না। ফলে এই ব্যাপারে আমার কিছু করণীয়ও থাকবে না।  

পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না। আমি এখন এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।