ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা এখনো যেকোনো আলোচনার জন্যে দাঁড় খুলে রেখেছি। জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো সমঝোতা করবো না।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্ট্রিনে ‘বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতা: অগ্রাধিকারমূলক সমস্যা ও উদ্বেগ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্যাসিফিক অঞ্চলের দুই তৃতীয়াংশ বাণিজ্য ভারত মহাসাগর কেন্দ্রিক। সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় থাকুক এটা বাংলাদেশের প্রত্যাশা। বাইরের কোনো শক্তির হস্তক্ষেপ কখনোই প্রত্যাশা করিনি। দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসিতে গুরুত্ব দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। নিয়মতান্ত্রিক সমুদ্র বাণিজ্য, বিনিয়োগ বাড়াতে সব সময় বদ্ধপরিকর।
শাহরিয়ার আলম বলেন, গঠনতান্ত্রিকভাবে সব আঞ্চলিক সংগঠনের সঙ্গে মিলেমিশে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই। খুব শিগগিরই আমাদের নিজস্ব স্ট্রাটেজি গড়ে উঠবে। বাংলাদেশ এখনো মুক্তবাণিজ্যের চুক্তিতে যেতে রাজি হলেও সব সময় নিজের স্বার্থ কেন্দ্রিক দর কষাকষির পক্ষে।
তিনি বলেন, রেহিঙ্গা সংকটের উৎস মিয়ানমার। সমাধানও সেখানে। যেকোনো সময় খোলা মনে আলাপ-আলোচনায় রাজি বাংলাদেশ। মানবতার ক্ষেত্রে উদারতা দেখালেও কখনোই নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো ছাড় দেবে না বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, আরসা ও আরএসওর পারস্পরিক সংঘাত হচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন মাত্রা পাচ্ছে। দিন দিন সংকট-নিরাপত্তায় আরও জটিলতার দিকে যাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব সমস্যার সমাধান হয়, শুধু রোহিঙ্গা সমাধানের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা সেভাবে হয় না। এত ব্যয়ের বোঝা ও দায়, বাংলাদেশের বহন করা আর সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সবাইকে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, জাতিসংঘের শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন। সে মতেই এ সংকটের সমাধানের পথে হাঁটতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে নতুন করে ভাবাচ্ছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে। বাংলাদেশের নিজস্ব ভারত মহাসাগরীয় কৌশল এরইমধ্য বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে থেকে স্পষ্ট করেছে। কোনো ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
টিএ/এএটি