ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে অনীহা রয়েছে: মোমেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
রোহিঙ্গাদের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে অনীহা রয়েছে: মোমেন

ঢাকা: রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণে অনীহা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।  

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই কথা জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।  

এম আব্দুল লতিফ তার প্রশ্নে বলেন, এটি কি সত্য যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বছরে ৩০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে? বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন সময় নানা অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। যা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। রোহিঙ্গাদের দ্রুত স্বদেশে ফেরত পাঠানোসহ নতুন অনুপ্রবেশ বন্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে?

উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে উচ্চ জন্মহার দেখা যায়। জন্মহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তর, দেশি-বিদেশি এনজিও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সেবা এবং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে রোহিঙ্গাদের পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণে অনীহা রয়েছে। পরিকল্পিত পরিবার গঠনে তাদের উদ্বুদ্ধ কবার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ক্যাম্পগুলোতে চালু রয়েছে।  

তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে টেকসইভাবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে স্বদেশে ফেরত পাঠানোই বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রত্যাবাসন বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলমান রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের ত্রিপাক্ষিক পাইলট উদ্যোগের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়েও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক একটি রেজল্যুশন গৃহীত হয়েছে যেখানে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কোনো সদস্য এই প্রস্তাবনার বিপক্ষে ভোট দেয়নি, যা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশের কূটনৈতিক উদ্যোগের সাফল্য বলে বিবেচনা করা যায়। এই রেজল্যুশন গৃহীত হওয়ার ফলে প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে।

মন্ত্রী বলেন, গত আগস্ট মাসে উদ্ভূত সীমান্ত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নীতি অনুযায়ী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে বিজিবি সতর্ক রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩

এসকে/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।