ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এনার্জি কমিশন বিলের বিরোধিতা করে মোকাব্বিরের ওয়াকআউট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এনার্জি কমিশন বিলের বিরোধিতা করে মোকাব্বিরের ওয়াকআউট

ঢাকা: এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল পাসের বিরোধিতা করে জাতীয় সংসদের অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছেন গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান। এই বিল পাস হলে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ পাসের জন্য সংসদে উপস্থাপন করা হলে মোকাব্বির খান ওয়াকআউটের ঘোষণা দেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।

এর আগে মোকাব্বির খান বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। এর পক্ষে তিনি বক্তব্য রাখেন এবং বক্তব্যে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের রক্ষার জন্য ইনডেমিনিটি (দায় মুক্তি) দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

এর পর মোকাব্বির খান বলেন, যেহেতু বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতমিন্ত্রী বিলটি প্রত্যাহার করেননি, তাই আমি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম, আমি ওয়াকআউট করলাম।

মোকাব্বির খান বলেন, বিলটি ১৬ কোটি মানুষের ওপর একটা বিরাট বার্ডেন (বোঝা)। বিগত ১৪ বছরে মোট ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে এবং সর্বশেষ চলতি মাসে বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সরকারের কাছে পাওনা আছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। যদি আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে সরকার এই পাওনা দিতে না পারে তবে অনিবার্যভাবে আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিং হবে। এই সংকট কাটানোর জন্য এবং দাতা সংস্থার শর্তপূরণের জন্য আজকের এই কালো আইন। বিদ্যুৎ সেক্টরের এই দুরাবস্থার মূল কারণ হলো, এই সেক্টরে ব্যাপক দুর্নীতি। আজ কুইক রেন্টাল, ক্যাপটিপ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বসিয়ে রেখে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে, এটা কার স্বার্থে? কেন উৎপাদনের সাথে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন তৈরি করা হয়নি। বিদ্যুৎ সেক্টরের এই অরাজকতার কথা বললে সরকারের গায়ে লাগে। প্রধানমন্ত্রী সেদিন আমাকে অনেকটাই হুমকি দিয়েই বলেছেন, আমার বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিলে কী হবে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা আছে, সেটা করতেই পারেন। এই সরকার যারা দেশকে বিদ্যুত দিয়েছে এ কথা অস্বীকার করোব না। আজ নতুন সংযোগ লাইনের চাহিদা নেই বললেই চলে। এটা নিঃসন্দেহে সরকারের একটা বড় উন্নয়ন। পাশাপাশি এই সেক্টরে যে লুটপাট হয়েছে বা লুটপাট চলছে, এটা কেন আপনারা স্বীকার করতে চান না। আজকে ইনডেমিনিটি বা কালো আইন কেন? এই কালো আইন তুলে নিয়ে দেখেন দুর্নীতিবাজরা কোথায় পালায়।

মোকাব্বির খান আরও বলেন, চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। সুতরাং সরকার জনস্বার্থ বিরোধী বিলটি পাস করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর বিল পাশের দুই-একদিনের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাবে। জনগণ এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের সমস্যায় কষ্টে আছেন। বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেলে তাদের কষ্ট আরও এক ধাপ বাড়বে। কোনো গণতান্ত্রিক সরকার ও ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি বা কালো আইন একসঙ্গে চলতে পারে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।