ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে দুই বন্ধু। এ ঘটনায় নান্দাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হলে আসামিরা আত্মগোপন করে।
বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আমান উল্লাহ (১৯) নামে পলাতক আসামিদের একজনকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার শ্যামগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা।
গ্রেফতার আমান উল্লাহ নান্দাইল উপজেলার খারোয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলমের ছেলে।
বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আসামি আমান উল্লাহকে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৪ সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও মিডিয়া কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন।
এর আগে মামলার অপর আসামি সুমন মিয়াকে (১৮) পুলিশ গ্রেফতার করলে সে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
র্যাব কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে বাড়ি যাওয়ার জন্য গফরগাঁও স্টেশনে বসে ছিলেন এক তরুণী। এ সময় সুমন নামের এক যুবক তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়।
পরে সুমন মিয়া তার বন্ধু আমান উল্লাহকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় এবং ওইদিন সন্ধ্যায় নান্দাইল উপজেলার খারুয়া রাজাপুর গ্রামের একটি জঙ্গলে নিয়ে ওই তরুণীকে দুই বন্ধু পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই তরুণীকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কালী মন্দিরের সামনে রেখে চলে যায়।
এ ঘটনায় গত ২৭ ডিসেম্বর ওই তরুণীর বাবা বাদি হয়ে নান্দাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
এনএস