ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যুবককে অপহরণের পর হত্যা; ৫ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
যুবককে অপহরণের পর হত্যা; ৫ জনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুর: ফরিদপুরে ধ্রব মণ্ডল (২২) নামে এক যুবককে অপহরণের পর হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় দেন।

২০০৭ সালের ২৮ জানুয়ারি এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর ১৬ বছর পর বুধবার এ রায় দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের মেঘারকান্দি গ্রামের সিরাজ মোল্লা (৫১), ইমারত মোল্লা (৪৬) ও কালাম মোল্লা (৪৮)। পরে তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ মামলার সাজাপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি সুবল টিকাদার (৬১) ও রঙ্গেশ্বর মণ্ডল (৪৬) পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার ও আদালতের নথি সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি পাশের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চালচা গ্রামের বাসিন্দা কানাইলাল মণ্ডলের ছেলে ধ্রুব মণ্ডলকে অপহরণ করা হয়। অভিযুক্ত ওই পাঁচজন তাকে পাশের নগরকান্দা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মেঘারকান্দি গ্রামের নিয়ে যান। পরে তারা ধ্রুবর বাবার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরদির ২৮ জানুয়ারি ধ্রুবকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মেঘারকান্দি গ্রামে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ধ্রুবর বাবা কানাই লাল বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কেরামত আলী ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মোট নয়জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

তবে বাকি চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর মুক্তি দেওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) গোলাম হোসেন মৃধা বাংলানিউজকে জানান, এ মামলায় অপহরণ ও হত্যা এ দুটি পৃথক অভিযোগে আসামিদের সাজা দেন আদালত। অপহরণ মামলায় আসামিদের সাত বছর করে সশ্রম করাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। অপর দিকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছর করে বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুটি অভিযোগের সাজা একসঙ্গে ভোগ করায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করলেই চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।