ঢাকা: আগুনে পুড়ে নিহত দম্পতির মরদেহ পড়ে ছিলো রান্নাঘরের ফ্লোরে। মৃত স্বামীর ওপরে ছিলো স্ত্রীর লাশ।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসেরর সদস্যরা মরদেহ দুটি দেখে ধারণা করছে, একে অপরের শরীরে লাগা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেছিলেন তারা। হয়তো আগুন থেকে একে অপরকে বাঁচাতে গিয়েই দম্পতির মৃত্যু হয়।
তারা জানান, রান্নাঘরে নাস্তা তৈরীর সময় জমে থাকা গ্যাসের আগুনেই তাদের মৃত্যু হয়। এসময় তাদের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো সকালের নাস্তার পরোটা ও ডিম পোচ। ছিলো পেঁয়াজ কুচিও।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে গুলশান বারিধারা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়ার স্টেশন অফিসার মো. ফরহাদুজ্জামান বলেন, আগুনের সংবাদে ভোরের দিকেই ইউনিট নিয়ে ভাটারা সাইদ নগর ৬ তলা বাড়ির তৃতীয় তলায় প্রবেশ করা হয়। আমরা সেখানে কোনো আগুন দেখতে পাইনি। তবে বাড়ির ভেতরে রান্না ঘরে আগুনে ঝলসানো দুটি মরদেহ দেখতে পাই। মরদেহ দুটি ছিল স্বামী-স্ত্রীর। তাদের শরীরের অধিকাংশই আগুনে ঝলসানো ছিল। এছাড়া রান্নাঘরে পড়ে ছিলো ডিম পোচ, পরোটা ও পেঁয়াজ কুচি। ধারণা করা হচ্ছে, নাস্তা বানানোর সময় যেকোনো কারণে জমে থাকা গ্যাসের আগুনেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া আগুনে রুমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি তারা দেখতে পাননি। পাশাপাশি রান্নাঘরে আগুনে পোড়া বা ক্ষয়ক্ষতিও তেমন দেখতে পাওয়া যায়নি।
ওই ফায়ার কর্মকর্তা আরও জানান, আমাদের ধারণা, যে কোনো কারণে রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাসে কোনোভাবে আগুনের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে আগুনের ফুল্কিতে তারা ঝলসে যান। নিহতদের মধ্যে স্বামী আনুমানিক ৬০ শতাংশ এবং তার স্ত্রী আনুমানিক ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: ভাটারায় বাসায় লাগা আগুনে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
এজেডএস/এনএস