ঢাকা: বছরের এগারো মাস কোনো খোঁজ না থাকলেও একুশে ফেব্রুয়ারি আসলেই কদরবারে শহীদ মিনারের আর নজর পড়ে কর্তৃপক্ষের। ভাষা শহীদদের স্বরণে স্থাপিত দেশের পবিত্র এই স্থাপনাটি সারা বছরই পড়ে থাকে অযত্নে অবহেলায়।
ফেব্রুয়ারি মাসকে বলা হয় ভাষার মাস। ১৯৫২ সালের এ মাসে ভাষার জন্য জীবন দিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন যারা, তাঁদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে এই শহীদ মিনার।
কিন্তু এই শহীদ মিনারের সারা বছর কেউ কোনো খোঁজ খবর রাখে না। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই চলে ঘোষা মাঝা, শুরু হয়ে যায় রঙের আলপনায় সাজানো। আবার ফেব্রুায়ারী মাস গেলেই এই শহীদ মিনার যেন পড়ে থাকে অনাদরে, অবহেলায়। ময়লা আবর্জনার স্তুপে ঢেকে থাকে শহীদ মিনারের চারিদিক।
বছরজুড়ে মিনারের পাদদেশে পাখির মল পড়ে সাদা হয়ে যায়। সিঁড়ির ওপর গাড়ি, মোটরসাইকেল পার্ক করে রাখা হয়। শহীদ মিনার চত্ত্বরের ভেতরে অনেকে প্রকাশ্যে ধূমপান করে, বাদামের খোসাসহ নানা ধরনের খাবারের উচ্ছিষ্ট ফেলা হয়। পথচারীরা পথ সংক্ষেপের জন্য মিনারের পাদদেশকে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করছে।
সারাবছরই দর্শনার্থী ও কিছু সময়ের বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করে এ শহীদ মিনার। দ্বারা ক্ষুণ্ন হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা। দলবল নিয়ে সবাই শহীদ মিনারের মূল বেদিতে উঠে পড়েন, যেভাবে ইচ্ছা ঘুরে বেড়ান, সেলফি তোলেন। পায়ে জুতো নিয়েও অনেককে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে পড়তে দেখা যায়। আবার কাউকে পরিবার নিয়ে মিনারের পাদদেশে বসে আড্ডায় মশগুল থাকতে দেখা যায়। যেন শহীদ মিনার অবসর সময় কাটানোরই স্থান!
মাদারীপুর থেকে আগত দর্শনার্থী মুনসুর মিয়া বলেন, এটা একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। দেশে বিদেশের অনেক দর্শনার্থীরা এটাকে দেখতে ছুটে আসেন। তাই কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, সারাবছরই শহীদ মিনারকে সুন্দর, পরিষ্কার ও পরিপাটিভাবে সাজিয়ে রাখা উচিৎ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৩
এসএম